
নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন রফিকুল ইসলাম (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের মোঃ ওমর আলীর পুত্র।
এলাকাবাসীসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় সাতক্ষীরা- যশোর সড়কের সদর উপজেলার তুজলপুর মোড়ের নিকট রফিকুল দাঁড়িয়ে ছিল। ঐ সময় মোটরসাইকেল আরোহী কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি গ্রামের আব্দুস সবুরের পুত্র মেহেদী নেওয়াজ সোহাগ তাকে সাজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রফিকুল ইসলাম ও মোটরসাইকেল আরোহী মেহেদী নেওয়াজ সোহাগ দুজনেই মারাত্মকভাবে আহত হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাগন আহত রফিকুল ও মেহেদী নেওয়াজ সোহাগকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদের অবস্থার মারাত্নক অবনতি হওয়ার কারনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রফিকুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে আই সি ইউ তে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে ভর্তি থাকা অবস্থায় গত বুধবার (১০ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে রফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
এঘটনায় নিহত রফিকুলের চাচাত ভাই আনারুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮ মার্চ মেহেদী নেওয়াজ সোহাগ ও তার চাচা পাথরঘাটা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে জহিরুল ইসলামকে আসামী করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। লাশ ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে পাথরঘাটা গ্রামে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা করা হয়েছে।
রফিকুল দুই সন্তানের জনক ছিলেন। তার পিতা মাতা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শষ্যায় শায়িত। রফিকুল পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ওসমান আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে ৩০৪ এর খ ধারায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া সড়ক পরিবহন আইনের ১০৫ ও পেনাল কোডের ২৭৯, ৩৩৮ ও ৩৩৮ (ক) ধারায় কোর্টে জি আর ১৭১ ২০২১ (সাতঃ) মামলা রের্কড করা হয়েছে।