
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা এলাকায় ঘনবসতি এলাকায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল একাধিকবার সদর উপজেলা প্রশাসনকে এ অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনাটি অবহিত করা সহ একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও বিগত এক সপ্তাহের মধ্যে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ফলে উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তারা এক অদৃশ্য শক্তির জোরে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা জানান, কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ঘনবসতি এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। যার ফলে ভবিষ্যতে চরম হুমকির মুখে পড়তে পারে ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ, কৃষকের কৃষি জমিসহ আশেপাশে পাঁকা স্থাপনা। তারা আরো জানান, কলারোয়া এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী মিজানুর রহমান কয়েক বছর আগে এই এলাকায় কয়েক বিঘা কৃষি জমি ক্রয় করে মাছের ঘের তৈরি করে মাছ চাষ করে। তার বিশাল ঘেরের বেড়িবাঁধের কারণে পানি নিষ্কাশনের বাঁধা সৃষ্টি হয়ে এলাকার কয়েকটি বসতবাড়ি জলাবদ্ধতা তৈরী হচ্ছে। এর মধ্যে হঠাৎ তার বিশাল ঘের থেকে বালু উত্তোলন করে ভরাট করছে পাশের বড় একটি গোডাউন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগে শুধু রাতে চললেও এখন দিন-রাত ২৪ ঘন্টা অবৈধ বালু উত্তোলন করছে তারা। ঘনবসতি এলাকায় বালু উত্তোলনে প্রশাসনের কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে সেখানকার কর্মচারীরা বলেন, নিজেরা জমি ক্রয় করে নিজেদের জমি থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে কারোর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এলাকার কৃষকরা জানান, এখানে বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের ফসলি ও কৃষি
জমি হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করলেও তারা শুনছে না। এ বিষয়ে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য রুহুল আমিনকে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য গ্রাম পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান, আমি বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলাম, তবুও তারা বালু উত্তোলনের কাজ কীভাবে চালিয়ে যায়? এব্যাপারে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে দ্রæত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।