
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝাউডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলার পর ভুল স্বীকার করে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা হয়েছে। ঘটনাটি ২৫ডিসেম্বর সোমবার ৫টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঘটে। পরে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ নেতার সাথে মিমাংসা করে ও ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সদর থানায় মুচলেকা দিয়ে এ যাত্রায় আব্দুল খালেক রেহাই পায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গোবিন্দকাটি গ্রামের মতিয়ার শেখের ছেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মিলন শেখ ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত ঈগল প্রতীকের সমর্থক ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য আজাদ হোসেন, ইউপি সদস্য আলি বক্স, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুর রাজ্জাককে হুমকি দিয়ে বলে, ‘এটি মহাজোটের অফিস। এখান থেকে বেরিয়ে যা। এর পাঁচ মিনিটের মাথায় লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থক ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে ৫-৭জন লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। সেখানে উপস্থিত সকলকে এই বলে হুমকি দেয় যে, ‘এখান থেকে বের হবি না মার খাবি। সাথে সাথে তারা অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ ও সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনসহ উপস্থিত অন্যান্যদেরকে জামার কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস থেকে বের করে দেয়। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাটি আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর নজরে গেলে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে যায়। মারধোরের শিকার ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি মিমাংসার জন্য পুলিশ দলের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশের পরামর্শ না মেনে মারমুখী আচরণ করতে থাকে খালেক ও মিলন। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থক ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক ও নৈশ প্রহরী মিলন শেখ ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্র নাথ ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলুকে থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতেই ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে মিমাংসা করে নেয় ঝাউডাঙ্গা যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক। অন্যদিকে রাত ১টার দিকে সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন তার ওপরে হামলার ঘটনায় বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। পরদিন মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাজনৈতিক নেতারা সাংবাদিক ইয়ারবকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে মিমাংসা করিয়ে দেন। সদর থানা পুলিশের কাছে এ ধরনের আগ্রাসী কর্মকান্ড আর করবে মর্মে মুচলেকা দিয়ে আব্দুল খালেক এ যাত্রায় রেহাই পায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম জানান, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। পরে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হয়েছে।’