
ইমান আলী: সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। পৌরসভার নাগরিক সমস্যাসহ অন্যতম বড় সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় সড়কের উপর পানি জমে থাকে। পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় সাধারন মানুষকে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই সাধারন মানুষের মাঝে শুরু হয় নানান জল্পনা কল্পনা। তবে এবছর তাদের মাঝে বেশি আতংক বিরাজ করছে। কারণ, পানি নিষ্কাশনের শেষ ভরসা খাল বিল এখন আবদ্ধ করে রেখেছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। মৎস্য ব্যবসায়ীদের মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধের কারনে সামান্য বৃষ্টিতে জনবসতি এলাকাসহ রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে সড়কগুলোও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। এসব সড়কগুলোতে সাধারণ মানুষের চলাচলে ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। আবদ্ধ পানির কারনে কৃষকরা তাদের ফসল ফলাতে পারেনা। যদিও কেউ ফসল ফলানোর চেষ্টা করছে, তবে ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় ফসল বিনষ্ট হয়। এতে কৃষকরাও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ টু বকচারা বাইপাস সড়কে পানি নিষ্কাশনের জন্য যে কালভার্টগুলো আছে তার অধিকাংশ কালভাটের মুখ বন্ধ করে রেখেছে প্রভাবশালী মৎস্যব্যসীয়ারা। যত্রতত্র কালর্ভাট নির্মাণ, পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন প্রকার ছোট গিরি খাল না থাকায় কালভার্টগুলোও এখন অকেজো হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ধান চাষী আফজাল ও আলতাফ জানান, গত কয়েক বছর আগে প্রতি বছর তারা, বোরো আমন দুই ফসল ধান চাষ করতে পারত। কিন্তু এখন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা আমন ধান চাষ করতে পারছেনা। এতে করে জমির হারি দিয়ে তাদের অনেক লোকসান গুণতে হয়। তাই এই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।