
(পর্ব-১)
আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ:
চোরাই মটর সাইকেল সিন্টিকেটের মূল হোতা আশাশুনির মুকবুল। বিগত কয়েক বছর আগে শহরের রাধা নগর ব্রিজের পশ্চিম পাশে সরদার মটরর্স নামে একটি পুরাতন মটর সাইকেলের শো-রুম খোলে মুকবুল। সেখান থেকেই শুরু হয় মুকবুলের চোরাই মটরসাইকেলের রমরামা ব্যাবসা। বর্তমানে মুকবুল শহরের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়া চলছে।
এর আগে ২০১৮ সালে মকবুলের সরদার মটরসের শো-রুম থেকে অর্ধশতাধিক চোরাই মটরসাইকেল, মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন নাম্বার পরিবর্তণ করার পাঞ্চ মেশিনসহ বেশ কয়েকটি চেচিজ উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। তৎকালীন এ ঘটনায় মকবুলকে আটক করে পুলিশ।
তবে মকবুলের এই বাটপারি ব্যবসায়ের শিকার হওয়া ক্রেতারা ভুগছেন এখনো। মুকবুল প্রথমে সহজ কিস্তিতে মটর সাইকেল বিক্রি করে। সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে গাড়ির কাগজ নিতে হয় ক্রেতাদের। সব টাকা পরিশোধ করার পরে কাগজ দিলেও দেখা যায় কাগজের সাথে মোটরসাইকেলের মিল নেই। প্রতারণার শিকার হয়ে ক্রেতারা অভিযোগ করলে মুকবুল তাদের বলে গাড়ি ও কাগজ শো-রুমে রেখে যান, আগামী সপ্তাহে এসে টাকা নিয়ে যাবেন। এরপর শুরু হয় মকবুলের যত টালবাহানা। আইনী শর্তসাপেক্ষ অনুযায়ী শো-রুমের যায়গা বিক্রি করে প্রতারিত ক্রেতাদের প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করে দেয়ার কথা মকবুলের। কিন্তু তা না করে বরং সেসব ক্রেতাদের সাথে টালবাহানা করে হয়রানি করে যাচ্ছে এই মকবুল। টাকা পরিশোধের জন্য ভুক্তভোগী ক্রেতাদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ফোন রিসিভ করেন না এবং ফোন বন্ধ করে দেন। আবার কোনো পাওনাদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এই প্রতারক। থানা-পুলিশ করেও নাকি তার কাছ থেকে কানাকড়িও আদায় করতে পারবে পাওনাদাররা এমনই সব কথা বলে মকবুল।
একাধিক ভুক্তভোগি জানায়, মকবুল কখনও আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় আবার কখনও বা বাম রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকে। একারণেই প্রশাসন তথা আইনের তোয়াক্কা করেন না তিনি।
এমনই একটি ঘটনা নিয়ে সদরের মাছখোলার অসহায় মনিরুল ইসলাম মুকবুলের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এবিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য থাকছে সিরিজটির ২য় পর্বে। মুখোশের আড়ালে থাকা প্রতারক মকবুলের এমন আরও প্রতারণার গল্প জানতে চোখ রাখুন দৈনিক সাতনদীতে।