
মো: রাকিব, চট্টগ্রাম: করোনার আপাদকালে দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব পরিবহন পরিচালনার নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামে তার পুরোপুরি উল্টো চিত্র। বাসের আসন ফাঁকা রাখার নির্দেশনার বিপরিতে দাড়িয়ে যাত্রী নেওয়ার চিত্র দেখা যায়। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি পালন হচ্ছে কিনা সেটি দেখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনও মনিটরিং চোখে পড়েনি। সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। হেলপাররা আগের মতো জোর করে টেনে টেনে যাত্রী তুলছেন। এসময় কোনও পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যায়নি। তবে পরিবহনগুলো বের হওয়ার আগেই জীবাণুমুক্ত করে রাখা হয়েছে বলে দাবি পরিবহন শ্রমিকদের।
জানতে চাইলে বলাকা সার্ভিসের চালকের সহযোগী বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বলেন, গতকালই আমরা আমাদের সব বাস জীবাণুমুক্ত করেছি। এখনও হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাইনি। তাই সেটা নিয়ে বের হতে পারিনি। তবে যাত্রীদের আমরা ধীরে বাসে উঠাচ্ছি এবং নামাচ্ছি। তিনি নিশ্চিত করেন পাশাপাশি দুটি সিটে কাউকে বসতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে চট্টগ্রাম নিউমার্কেটেও গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে। তবে যাত্রী সংখ্যায় অন্যা দিনের তুলনায় কম। এই এলাকার পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষও খুব বেশি পরিবহনে উঠছে না। যাদের একান্ত প্রয়োজন তারাই গণপরিবহন ব্যবহার করছেন।
অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি ছোট গণপরিবহনে। যাত্রীরা বাসে ওঠার সময় সবার হাতে প্রয়োজন মতো হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া না হলেও ১০ জন এর পরিবর্তে ৬ জনের বেশী যাত্রী নিচ্ছে না এই সকল ছোট গণপরিবহন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যেই অফিস খোলা ও গণপরিবহন সীমিত আকারে চলাচলের সরকারি সিদ্ধান্তের পর বাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিআরটিএ’র ওই সুপারিশকে গণবিরোধী উল্লেখ করে চলা সমালোচনার মধ্যেই গতকাল রবিবার বিআরটিএ এ সুপারিশের মাত্র ২০ শতাংশ কমিয়ে গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার বর্ধিত ভাড়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব।