
তরিকুল ইসলাম লাভলু: চট্রগ্রামের পতেঙ্গার একেবার শেষ প্রান্তে ৩২ চাকার টেলরের চালক হিসেবে কাজ করতে যেয়ে লাশ হয়ে নলতায় বাড়ীতে ফিরতে হলো মো: মনিরুল ইসলাম সাগর (৩৩) নামক তরতাজা এক যুবককে।
নিহত যুবক সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের মাঘুরালী গ্রামের বাসতুল্যা সরদারের কনিষ্ঠ পুত্র।
তথ্যানুযায়ি জানা যায়, প্রায় ২ বছর পূর্বে বিয়ে করা মো: মনিরুল ইসলাম সাগর দীর্ঘদিন থেকে চালক হিসেবে ঢাকায় বিভিন্ন মালিকের প্রাইভেটকার চালাতো। গত এক থেকে দেড়মাস পূর্বে বেশি পারিশ্রমিকের আশায় চট্রগ্রামের পতেঙ্গার শেষপ্রান্তে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ৩২ চাকার বড় টেলরের একপ্রান্তের চালকের আসনে বসে ১৭ জানুয়ারি রাতে বিভিন্ন শ্রমিক দ্বারা প্রয়োজনীয় মালামাল লোড করতে থাকে মনিরুল ইসলাম সাগর। রাত আড়াইটার দিকে তার চালকের আসনের একটি পায়া ভেঙ্গে ঘুমন্ত অবস্থায় ভিতরে নিচে পড়ে যায়। নিচে পড়ার সময় একটি রডে লান্সে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয় শ্রমিকরা সাথে সাথে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে নিলে রাত ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা দেয়। কিন্তু গত ১৭ জানুয়ারি রাতে সাগরের মৃত্যু হলেও মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, লাশের মালিকানাসহ নানান কারণে সাগরের লাশ চট্টগ্রামে থাকা অবস্থায় বাড়ী থেকে তার স্ত্রী, ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়রা আইডি কার্ড সহ প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি দেখানোর এক পর্যায়ে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১৯ জানুয়ারি বিকালে লাশের এ্যাম্বুলেন্স রওনা দিয়ে ২০ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কালিগঞ্জের মাঘুরালী তার বাড়ীতে লাশের গাড়ী পৌঁছায়। গত কয়েকদিন থেমে থেমে কান্নার পর লাশ বাড়ী আসার সাথে সাথে বাড়ীতে হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১ টায় মাঘুরালী হযরত শাহজালাল (র.) এঁর দরগাহ প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।