
আকবর হোসেন,তালা: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে লন্ডভন্ত সাতক্ষীরার তালা উপজেলা। আম,পান,কলা সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেংগে গেছে ঘরবাড়ীসহ কোটি টাকার গাছপালা।
সরেজমিনে বিভিন্ন স্থনে গিয়ে দেখা যায়, গাছ পালা ভেঙ্গে রাস্তা ঘাট বন্দ হয়ে গেছে। মুরগির ফার্ম, আম, পান,কলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
তালা রহিমাবাদ গ্রামের পোল্টি ফার্ম ব্যবসায়ী মোঃ রায়হান শেখ বলেন, আমার ২টি ফার্ম ঘূর্ণিঝড় আম্পানে একবারে তচনচ হয়েগেছে। ১১শত মুরগী ছিলো, ৯শত এর বেশী মুরগী মারা গিয়েছে। ২টি ফার্ম একেবারে ভেংগে গিয়েছে। এক একটি মুরগী দেড় কেজি ওজন হবে। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়েগেছি। আমার ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এমনই বক্তব্য দিয়েছিলেন বারুইহাটি গ্রামের আহম্মদ কেরানী। তার বশত বাড়ি টিনের চাল ভেংগে ঘরের ভিতরে থাকা সকল আসবাবপত্র ভেঙ্গে গিয়েছে।
ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ সেন বলেন, ইসলামকাটি ইউনিয়নে কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমি ২দিনে ইউনিয়নে প্রায় সকল এলাকা পরিদর্শন করেছি। মানুষ প্রচুর ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ আব্দুল্লাহ-আল মামুন বলেন, এ পর্যন্ত ৯০৪ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি বলে জানা গেছে। এর মধ্যে আম, পান,কলা এবং সবজির ক্ষতির পরিমান বেশী।
তালা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়েদুল হক জানান, উপজেলার ১১৩টি আশ্রায় কেন্দ্রে ২২হাজার ৩শত ব্যক্তি আশ্রায় গ্রহন করেছিলো। এ পর্যন্ত জানা খবরে ১০ জন মানুষ ৮টি গরু এবং ৩০টি ছাগল আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি ছাগল মারা গেছে। মৎস বা চিংড়ি ঘের ভাঙ্গার কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা সঠিক কোন তথ্য দিতে পারছি না। আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে সঠিক তথ্য আপনাদের প্রদান করবো। তবে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে মানুষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বেশীর ভাগ আম, পোল্টি,পান ও কলায় প্রচুর পরিমানে ক্ষতি হয়েছে। আমি তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। একদিকে করোনা অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। তবুও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রর্থনা করি তিনি যেন সকলের ভাল রাখেন।
সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য এ্যড, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, টিআরএম প্রকল্পের বাঁধ এর ৬টি স্থানে ভেংগে লোকালয় প্লাবিত। বালিয়া গ্রামে ৪০টি পরিবার পানিবন্ধি। আমি সরকারী স্ব-স্ব দপ্তরে নির্দেশ দিয়েছি সকল ক্ষতিগ্রন্থ ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করতে। তাহাছাড়া আমি নিজেও বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি।