
হাফিজুর রহমান ঃ– কালীগঞ্জে শত বছরের শ্মশানের জায়গা দখল করে উপজেলা প্রশাসনের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের মাঝে মরা দেহ সৎকার নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপায়ান্তর না পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাজার গ্রামের গোপীনাথ অধিকারীর মায়ের শবদেহ পাউখালী যমুনা খালের পাড়ে রাস্তার উপরে দাহ করা হয়। উক্ত ঘটনা নিয়ে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সনৎ কুমার গাইন জানান, গত কয়েক মাস আগে উপজেলার পিরোজপুর এলাকায় শ্মশানের জায়গা দখল করে
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল শ্মশান ঘাটের ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু উক্ত প্রতিবাদ কে উপেক্ষা করে রাস্তা নির্মাণ হয় বর্তমান শবদেহ সৎকারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমরা ওই সময়ে প্রতিবাদ করে সেটি প্রতিহত করি। এর কয়েক মাস পর পাউখালিতে অবস্থিত শতবছরের সার্বজনীন শ্মশানের উপর দিয়ে পিচের রাস্তা তৈরি করার ঘটনাটি খুবি দুঃখ জনক।
খোঁজ দিয়ে জানা যায়, উপজেলার পাউখালি ব্রিজ হতে প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আদি যমুনা নদীর পাশ দিয়ে দুই কিলোমিটার পিচের রাস্তার কাজ চলছে।
রাস্তাটির কাজ ঠিকাদার রফিকুল ইসলামের নামে টেন্ডার হলেও কাজ করছে ঠিকাদার মতিউর রহমান ওরফে ভাটা মতি। ঠিকাদার রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিডিউল অনুযায়ী রাস্তার কাজ চলছে। রাস্তাটি আমার নামে টেন্ডার হলেও কাজ করছে মতি। তার উচিত ছিলো রাস্তার কাজ শুরু করার আগে এ সমস্যার সমাধান করা। তাহলে এ বিতর্কে পড়তে হতো না।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, শ্মশানের উপর দিয়ে রাস্তা যাচ্ছে এটা আমার জানা নেই। শ্মশানের উপর দিয়ে রাস্তা করে আমরা ধর্মীয় অনুভূমিতে আঘাত করতে চাই না। পাউখালি থেকে কত কিলোমিটার রাস্তা হচ্ছে আমি সকালে আপনাকে জানাতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই সমাধান করা হবে।