
হাফিজুর রহমান/হাবিবুল্লাহ বাহারঃ স্লুইসগেট গেটের সামনে খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মৎস্য ঘের করা নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোড়ল, ইউপি সদস্য আবুল কালাম, আওয়ামী লীগ নেতা পরান জেলে ও পাটনি সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ। গত সপ্তাহের প্রবল বর্ষণে এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষ ডুবে মরলেও দেখার কেউ নাই। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের বারোদহ গ্রামে। এলাকাবাসীর প্রতিনিয়ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন করে ঘুষুড়ী গ্রামের লুৎফর রহমানের পুত্র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোড়ল এবং ইউসুফপুর গ্রামের মনির উদ্দিনের পুত্র ইউপি সদস্য আবুল কালামের বিরুদ্ধে রেজুলেশন করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ৯ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত রবিবার ২৬ সেপ্টেম্বর আনুমানিক বারোটার সময় সরোজমিনে বারদহ গ্রামে গেলে বারোদহ গ্রামের আবুল হোসেন, জাকির হোসেন, মুজিবর, শাহজাহান সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান বারোদহ ¯øুইজ গেটের খালটি এলাকার প্রভাবশালী চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মন্ডল এবং ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগ নেতা পরান জেলে এবং চাম্পাফুল ইউনিয়ন আ¤øীগের সাধারণ সম্পাদক পাটনি সিদ্দিক দীর্ঘদিন যাবৎ গেটের মুখে সরকারি খাস খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে ঘের করার ফলে আমরা ভিশন অসুবিধার মধ্যে আছি। একটু ভারী বর্ষণ হলে থালনা, বারোদা, ইউসুফপুর, এলাকার আমরা প্রায় শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে জীবন যাপন করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার চেয়ারম্যান মেম্বারদের জানালেও কোনো কাজ হয়নি। আমাদের এলাকা প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় কেউ আমাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকায় না। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে তিন নাম্বার সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য শ্যামলী রানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন তার বাড়ির নিকটে গেটটি হওয়ায় তাকে বললে সে লতিফের পক্ষ নিয়ে আমাদের কে হয়রানি করে আসছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা তার নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ইউপি সদস্য ঠাকুরদাস গায়েন অভিযোগ করে বলেন জোর যার মুল্লুক তার সরকারের শত শত একর সম্পত্তি প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে বাধ দিয়ে সুইচ গেট বন্ধ করে মাছ চাষ করে আসলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে চাম্পাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন বলেন বিষয়টি আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪ নাম্বার পোল্ডার এর এস ও আব্দুল খালেককে ব্যবস্থা নিতে বললেও তিনি প্রভাবশালীদের নিকট হইতে অর্থ-বাণিজ্য করে আর ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা ইউনিয়ন পরিষদের তরফ থেকে রেজুলেশন করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠায়েছি। এখনও কোন সাড়া পায়নি। এ ব্যাপারে এস ও আব্দুল খালেক এর নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন গেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের হলেও খালটি উপজেলা ভুমি অফিসের। যে কারণে খালে ব্যাপারে আমাদের করার কিছু নাই। ঘটনার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোড়লের নিকট জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন ¯øুইজ গেটের সামনে আমরা ঘের করার অনেক আগে বাদ দেওয়া। তাছাড়াও ওখানে সরকারী সম্পত্তি ইজারা ছাড়াও ব্যক্তিগত জমিতে বাধ দেওয়া আছে। ইউপি সদস্য আবুল কালামের মোবাইলে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের অফিসে যেয়ে না পাওয়া গেলে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ও তিনি খুলনায় থাকায় ফোন ধরেননি।