
মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক: সুপ্রাচীন কাল থেকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ। কালিগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে দীর্ঘ সড়কটি কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে এ কার্পেটিং সড়কটির কোন সংস্কার বা মেরামত হয় না। ফলে পথচারী ও এলাকাবাসী বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সন্মুখীন হচ্ছে। কৃষ্ণনগর হতে চৌমুহনী বাজার অভিমুখি রাস্তাটি কৃষ্ণনগর থেকে উপজেলা সদরে ওঠার প্রধান সড়ক হওয়ায় প্রতিদিন অফিস আদালতে ও বিভিন্ন কাজে মানুষকে ছুটতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু এই প্রধান সড়কের প্রায় ৫-৭ কিঃমিঃ কার্পেটিং রাস্তায় কোথাও গর্ত, কোথাও কার্পেটিং নেই যার ফলে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়াও প্রতিদিন সকাল হতে না হতে স্বনামধন্য টাটকা সবজির বাজার কৃষ্ণনগরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন থেকে বিভিন্ন প্রকার কাচা শাকসবজি বিক্রি করার জন্য সাইকেল,ভ্যান যোগে কৃষ্ণনগর বাজারের আসে কৃষক সহ পাইকারী ক্রেতারা। কিন্তু রাস্তার গর্ত ও কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় ঘটছে নিয়মিত ছোট বড় দূর্ঘটনা । এছাড়া বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে কখনও ইট ভর্তি ট্রলি,নসিমন, পল্টি মুরগীর ডিম ভর্তি নছিমন, ইজিবাইক, মটরচালিত ভ্যান রাস্তায় না থেকে থাকেছে রাস্তার পাশে পুকুরে বা ক্যানেলে।
এব্যাপারে কয়েকজন পথচারীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে দূর্বার গতিতে উন্নয়ন করলেও আমাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের গাফিলাতি ও কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টির অভাবে এই কার্পেটিং সড়কের বেহাল অবস্থা। তারা আরও বলেন আমরা প্রায় দেখি রাস্তার কাজে নিয়োজিত কয়েকজন কর্মকর্তা খারাপ যায়গা পরিমাপ করে যায় কিন্তু তার কোন সমাধান দেখা যায় না। ইহা ছাড়াও বাংলাদেশের কুয়েত নামে খ্যাত সাতক্ষীরার যে পরিচিতি তারও বৃহৎ অংশ কালিগঞ্জের এ এলাকায় পড়ে। এমনকি উপকূলীয় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূযোগ কবলিত এই এলাকার মানুষ বেশি অবহেলিত ও বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে বলে অনেকের দাবী। একটি দেশ তথা এলাকার উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। সুতরং সর্বমহলের দাবী সড়কটি আশু সংস্কার করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, সংসদ,উপজেলা চেয়ারম্যান ও সড়কও জনপদ বিভাগের কার্যকর পদক্ষেপ জোর দাবি জানিয়েছে সচেতন এলাকাবাসী।