
হাবিবুল্লাহ বাহার: নদী মাত্রিক বাংলাদেশে নদী যেমন বিস্তীর্ণ তেমনি খাল-নালা ও ছড়িয়ে আছে দেশের জেলা উপজেলা গুলোর সর্বত্র। আর এসব খাল-নালা বেশীর ভাগই সরকারি সম্পত্তি তেমনি কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া জগবাড়ীয়া খাল। খালটি কিছু ভূমি খেকো রাক্ষসদের থাবায় হাড়িয়ে ফেলছে তাদের রস-যৌবন। হারিরে ফেলছে তাদের গতিপথ ও গন্তব্য। খালটি ভেগেরহাট খোলা থেকে বামনহাট পযর্ন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ। ঐতিহ্যবাহী জগবাড়ীয়া খালটি নামে-বেনামে দখল করে এর রূপ ও নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। আর এভাবেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি খালগুলো। যেন বলার কিছু নেই, দেখারও কেউ নেই। যে যার মতো করে দখল করে নিচ্ছে সরকারি সম্পত্তি। তবে এর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। খালটি দীর্ঘদিন যাবৎ উন্মুক্ত ছিল বর্তমানে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীরা খালটি নিজেদের জায়গা দাবী করে দখল করে নেওয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব প্রভাবশালীদের খাল দখলের কারণে জগবাড়ীয়া খালটি বিলীন হতে বসেছে। সরেজমিনে যেয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী রমেশ মন্ডল, সন্ন্যাসি মন্ডল, তরু মন্ডল, ভারতী মন্ডল সহ একাধিক জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষরা থেকে আমরা এই খালটিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। এই খালটি ইতোমধ্যে প্রায় ৪ বিঘার এরিয়া জুড়ে খালের মাঝখান হতে খুঁটি পুঁতে বেড়া দিয়ে ইতিমধ্যে দখল শুরু করেছে ঐ এলাকার বানিয়াপাড়া গ্রামের সব্বান আলী শেখের দুই ছেলে সাইদুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম। বানিয়াপাড়া খাল দখলের বিষয়টি সাইদুল ও সিরাজুলের কাছে জানতে চাহিলে তারা জানান, আমাদের রেকডীয় সম্পত্তি আমার ঘিরে নিয়েছি। কিন্তু রেকডীয় সম্পত্তির কোন বৈধ্য কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এবং পাশ^বর্তী বানিয়াপাড়া খালের প্রায় ২৭ বিঘার এরিয়া জুড়ে ২০১৩ সাল থেকে দখল করে সেখানে মাছের প্রজেক্ট তৈরি করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী আজিজ শেখ। খালটি দখলের বিষয়টি জানতে চাহিলে তিনি জানান উপজেলা জল কমিটি থেকে ডিসিআর নিয়েছি। এঘটনায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন জানান, ইতিমধ্যে আমার সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের খালটিতে মাটি ভরাট করতে নিষেধ করি এবং কাজ বন্ধ করে দেই তার পর বহাল তবিয়াদে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, খালটি যারা দখল করছে তাদের নাম ঠিকানা আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।