
হাফিজুর রহমান:
কালিগঞ্জ বাসী ৩ ঘন্টার জন্য হারিয়ে গিয়েছিল সেই আদি প্রাচীনতম গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা দেখার ভিঁড়ে। নৌকা বাইচ দেখার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী পুরুষ শিশুদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছিল সীমান্তবর্তী কালিন্দী ও কাঁকশিয়ালী নদীর দুই তীরে।
কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের কামদেবপুর যুব মিলনী সংঘের আয়োজনে মঙ্গলবার বিকাল ৩ঘটিকার সময় কামদেবপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন কাঁকশিয়ালী নদীতে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রতিযোগীতায় মোট ১৫টি নৌকার মাঝি মোল্লারা প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে। প্রতিযোগীতায় ৩টি ধাপে বাছাই শেষে চুড়ান্ত ধাপে ৪টি নৌকা প্রতিযোগীতা করে।
প্রতিযোগীতায় কামদেপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন ওরফে কেনার নেতৃত্বে মাঝি মোল্লারা প্রথম অধিকার করে একটি গরু পুরস্কার লাভ করে। একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে মাঝি মোল্লারা ২য় স্থান অধিকার করে ছাগল পুরস্কার লাভ করেন এবং ঐ গ্রামের জামাল হোসেনের নেতৃত্বে মাঝি মোল্লা ৩য় পুরস্কার হিসাবে একটি ভেঁড়া পুরস্কার লাভ করেন। বাকি ১২জন প্রতিযোগীরা শান্ত পুরস্কার হিসাবে সবাইকে একটি করে কলস প্রদান করা হয়।
উক্ত নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতায় ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নরিম আলী মাস্টার। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপালী রানী ঘোষ, থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ডি,এম,সিরাজুল ইসলাম, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নাইম, ব্যবসায়ী ফিরোজ কবির কাজল, ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক এবং কামদেবপুর যুব মিলনী সংঘের সভাপতি শ্রী জয়দেব দাশ, সাধারণ সম্পাদক অজিবর রহমান প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলায় কর্মরত সুধী, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।