
হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলী হত্যা সহ ফতেপুর, চাকদাহ গ্রামের সংখ্যালঘুদের বাড়ি পোড়ানো সহ ১ ডজন নাশকতা মামলার আসামী আব্দুল কাদের হেলালী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৪ টার সময় বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মুকুন্দ মধুসুধনপুর গ্রামের চৌমুহুনী বাজারে এ কর্মসুচি পালন করা হয়। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন পাল বাচ্চু, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহআলম, সাধারণ সম্পাদক আশেক ইকবল পাপ্পি, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ। মানবন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন নয় বছরে দাখিল পাশ করেন দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসার এক সময়কার জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের হেলালী। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঞ্চে হুজুরে কেবালা নাটকে মহানবীকে কটুক্তি সংক্রান্ত গুজব তৈরি করে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ ফতেপুর ও চাকদাহ গ্রামের শিক্ষক মিতা রানী বালা, লক্ষীপদ মন্ডল সহ বিভিন্ন হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও লুটপাটের মামলায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর জেল হাজতে যান। এ ছাড়া তিনি ২০১২ সালের ৩১ মার্চ আব্দুল হাকিম এর বাড়ি ভাঙচুর , ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, ফতেপুর হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলে ভাঙচুর মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী। এ ছাড়া তিনি বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী মোসলেম আলী হত্যা মামলার আসামী। তার বিরুদ্ধে শ্রীধরকাটি গ্রামের ইউপি সদস্য ছিদ্দিকুর রহমানের উপর হামলা, গড়ের কান্দায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আশরাফুল ইসলাম বাবু আহত হওয়ার মামলা, কালিগঞ্জের নলতা ও কালিকাপুরে নাশকতাসহ মোট ১ডজন মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জেল হাজতে যাওয়া ও জামিনে মুক্তি পেয়ে পাঁচ বছর মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন হাজির না হওয়ায় তিনি কর্মচ্যুত হন। এরপরও তিনি তার ছেলে হাসানুজ্জামান স্থানীয় ইউপি সদস্য জামায়াত শিাবরের পৃষ্টপোষক সিরাজুল ইসলাম, শ্রীরামপুরের জামায়াতের অর্থযোগানদাতা রফিকুল ইসলাম, মাদ্রাসার পিওন শাকির আহম্মদ, মোসলেম হত্যা মামলার আসামী মাষ্টার হাবিবুর রহমান ও হত্যাসহ একডজন নাশকতা মামলার আসামী ছিদ্দিকসহ কয়েকজনকে নিয়ে গত বছরের ৫ মে নিয়ে দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চলতি দায়িত্বে থাকা অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে ইচ্ছামত লিখিয়ে নেন। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে হেলালী ও তার সহযোগীরা উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার পরিকল্পনা করে এলাকায় নতুন করে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে চাইছেন। এটা মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে হেলালী ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহবান জানান। তা নাহলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে। ২০১৩ সালে দারুল উলুম চৌমুহুনী ফাজিল মাদ্রাসায় নাশকতার ক্যাম্প বানিয়ে পুরা কালিগঞ্জকে অশান্ত করে তুলেছিল। শান্তি প্রিয় মানুষ এলকায় আর কোন সহিংস, নাশকতা না ঘটে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবন্ধ হওয়ার আহবান জানান। বর্তমান আওয়ামীলীগের এক শ্রেণীর শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায হাইব্রিড আওয়ামীলীগের রাজত্ব কায়েম করে প্রকৃত আওয়ামীলীগারদের কোন ঠাসা করে ফেলেছে। এ ব্যপারে অত্র মাদ্রসার কর্মচুত্য অধ্যাক্ষ আব্দুল কাদের হেলালী (০১৭১৪৮৪৭২১১) বলেন, তিনি যাতে বৈধভাবে মাদ্রাসার সুপার হিসেবে যোগদান না করতে পারেন সেজন্য একটি মহল ষঢ়যন্ত্র করে চলেছে।