আব্দুর রহিম, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলায় মাছ চাষ করে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে। মাছ চাষ করে তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে তা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করছেন। তাদের মাছ চাষে সফল হতে দেখে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামেও মাছ চাষ ছড়িয়ে পড়েছে। জানা যায়, বর্তমানে ফরমালিনের কারণে অনেকে মাছ কিনতে ভয় পান। তাই এই উপজেলার চাষিরা ফরমালিনমুক্ত তাজা মাছ চাষে আগ্রহী হন। এই উপজেলার গ্রাম অঞ্চলের যেদিকে চোখ যায় শুধু পুকুর আর পুকুর। এসব পুকুরে চাষ হচ্ছে- রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প, মনোসেক্স পাংগাসসহ বিভিন্ন মাছ। ব্যবসায়ীরা এই উপজেলার উৎপাদিত তাজা মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিচ্ছেন। উপজেলার পানিয়া গ্রামের রুহুল আমিন সরদার বলেন, আমি ১০ বিঘা পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করি। শুরুতে ১ বিঘা পুকুরে মাছ চাষ করলেও বর্তমানে ১০ বিঘার বড় পুকুরে মাছ চাষ করছি। মাছ চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। আমার মতো অনেক চাষিই মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। পানিয়া গ্রামের আর এক মৎস্য চাষী সাইমুন আবিদসহ কয়েকজন মাছ চাষি বলেন, আমরা মাছ চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছি। আমাদের উৎপাদিত তাজা মাছ এই জেলা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের এখানকার মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ আমাদের উৎপাদিত মাছে কোনো ফরমালিন নেই। মানুষ নির্বিঘ্নে আমাদের উৎপাদিত মাছ ক্রয় করে খেতে পারে। ফলে আমাদের মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই অন্যান্য চাষের থেকে মাছ চাষে আমরা বেশি লাভবান হতে পারি। কালিগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, মৎস বিভাগ মাছ চাষিদের তালিকা করে তাদের আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছে।
কালিগঞ্জে মাছ চাষে স্বাবলম্বী সহস্রাধিক পরিবার
পূর্ববর্তী পোস্ট