
হাফিজুর রহমান: করোনা ভাইরাসের লকডাউন উপেক্ষ করে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাণিজ্যিক ইট-পাজার বিষাক্ত ধোয়ায় জন-জীবন বিপর্যস্ত হলেও দেখার কেউ নাই। করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যখন দফায় দফায় উপজেলা প্রশাসন কালিগঞ্জ উপজেলার এক প্রাপ্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে। ঠিক এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু পাঁজা ব্যবসায়ীরা কোন কিছু তোয়াক্কা না করে দিন-দুপুরে পাজায় আগুন দিয়ে এলকাজুড়ে বিষাক্ত ধোয়ায় আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ১টার সময় উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মানপুর গ্রামের মৃত খাদেম আলীর পুত্র মিজানুর রহমানের বাড়ীর সামনের বিলে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। সুযোগ বুঝে রখুনাথপুর গ্রামের সামছুর রহমানের পুত্র প্রতারক মিন্টু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ওসির নাম ভাঙ্গিয়ে দেখ-ভালোর দায়িত্বে নিয়ে পাজা মালিক মিজানের নিকট হইতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এলকাবাসী ধরে প্রতারক মিন্টুকে গণ ধোলায় দিয়ে থানায় খবর দেয়।
অরেক ঠক প্রতারক মানধিকার নেতা পরিচয় দিয়ে উজির গ্রামের বারী এই সুযোগে গত এক সপ্তাহ আগে ৫হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে পাজা মালিক সাংবাদিকদের জানান।
মঙ্গলবার আনুমানিক ১টার সময় সরেজমিনে গেলে শামসুর রহমান, আমিন, সেলিনা, জয়নাল জানান, পাজা ব্যবসায়ী মিজান র্দীঘ ৫/৬ বছর যাবত এলকায় পাজা ব্যবসা করে আসছে। প্রতিবছর পাজার আগুনের কালো ধোয়ায় ফসলের ক্ষতি সহ আমরা এলকায় বাস করতে না পারায় ঘর ছাড়ার উপক্রম হলেও দেখার কেউ নাই।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা অফিসার্স ইনচার্জের আশু দ্রত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।