নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের ৯ম দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব ও সাংবাদিক কালিদাস রায়। আগামী ৩১ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামীকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। দুপুর পৌনে ১২ টায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব একসাথে চলা সংক্রান্ত আসামীপক্ষের আনীত দরখাস্তের শুনানী হয়। এতে উভয়পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন জজ কোর্টের পিপি এড. আব্দুল লতিফ, জিপি এড. শম্ভুনাথ সিংহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যসোসিয়েশনের সহসভাপতি এড. মোহাম্মদ হোসেন, অতিরিক্ত পিপি এড. ফাহিমুল হক কিসলু, অতিরিক্ত পিপি এড. আব্দুস সামাদ, এড, আব্দুল বারী, এড, সৈয়দ জিয়াউর রহমান, এড. কামরুন্নাহার ঝুমুর প্রমুখ।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। এ পর্যন্ত ১৩ জন এ দুটি মামলায় সাক্ষী দিলেন।