কলারোয়া সংবাদদাতা: কলারোয়া উপজেলার আমার বাড়ী,আমার খামার প্রকল্পের ভবন নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ও প্রয়োজনের তুলনায় কম ইট,বালু সিমেন্টের ব্যবহার হয়েছে এছাড়া ভবন নির্মানে প্রয়োজনের তুলনায় কম রড ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে, এ সমস্ত দুর্নীতি ও অর্থ লোপাটকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আত্নসাতকৃৎ অর্থ আদায় ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে প্রকল্পের সদস্য,উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও উপজেলার সচেতন নাগরিকবৃন্দ।
আমার বাড়ী,আমার খামার প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী ভবন নির্মানের জন্য কেন্দ্রীয় ভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০.০০.০০০(দশ লক্ষ টাকা),একতলা ভবনের নির্মান কাজ ভীত পর্যন্ত শেষ হওয়ার আগেই বরাদ্দের ১০ লক্ষ টাকা লোপাটের উদ্দেশ্যে উত্তোলন করেছেন উপজেলা সমন্বয়কারী বদরুল আলম, এছাড়া উপজেলা সমন্বয়কারী সরকারী কোনও নীতিমালা অনুসারন না করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর কোনও রকম পরামর্শ ও নকশা ব্যাতীত নিজের ইচ্ছেমতো সরকারী অর্থ নষ্ট করছেন “আমার বাড়ী,আমার খামার”প্রকল্পের কলারোয়া উপজেলা সমন্বয়কারী বদরুল আলম।ভবনটি নির্মানে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করে মূল বরাদ্দের প্রায় ০৩ লক্ষাধিক টাকা পকেটস্থ করেছেন। ভবন নির্মানে প্রয়োজনের তুলনায় কম রড ও পুরাতন ইট ব্যাবহারের কারনে ইতোমধ্যে ভবনের বিভিন্নস্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভবন নির্মানে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলার কয়লা গ্রামের বাসিন্দা কামাল আহাম্মেদ বলেন, আমি সমিতির টাকা উত্তোলন করতে এখানে এসেছি এখানে যে নির্মান সামগ্রী বালু,খোয়া ও রড ও সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে তা সস্তা ও প্রয়োজনের তুলনায় কম দেওয়া হচ্ছে,কিছু পুরাতন ইট ও রড ভবনটির ছাদ ঢালাইতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অর্থ তছরুপকারী ও দুর্নীতিবাজ উপজেলা সমন্বয়কারী বদরুল আলম বলেন, ‘রডের গায়ে কিছু কাটা-ছেঁড়া থাকবেই। কিছু পুরাতন ইট কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ভবনটির ছাদ ঢালাইতে ব্যবহার করা হইছে। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় কম সিমেন্ট ব্যবহার ও নিম্নমানের বালুর ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছন্ন করে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক জানান- আমার বাড়ী,আমার খামার প্রকল্পের ভবন নির্মান ও নির্মান কমিটি কোনওটির সঙ্গেই আমি সম্পৃক্ত নই,ভবনটিতে নিম্নমানের উপকরন ব্যবহার হয়েছে এটা আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি তবে ভবনটি ধসে পড়লে কিংবা কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে আমি তার দায়-দায়িত্ব নেবনা।
অভিযোগের বিষয়ে আমার বাড়ী,আমার খামার প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী আব্দুর রহমান জানান-ইতোমধ্যে আমি কয়েকটি মাধ্যমে ভবন নির্মানে নিম্নমানের উপকরন ও পুরাতন কিছু ইট,খোয়া ব্যবহার হয়েছে এবং বরাদ্দের টাকা লোপাট হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি,আগামীকাল ০৭ তারিখ আমি নির্মান কাজ পরিদর্শন ও কাজ শেষ হওয়ার আগেই বরাদ্দকৃত টাকা উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পিডি মহোদয়ের কাছে লিখিত দেব।
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান- নির্মান কাজ ও আর্থিক ত্রুটির বিষয়টি আমার জানা ছিরনা,কারন কিছুদিন পূর্বেই আমি যোগদান করেছি,তবে নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে তিনি বদ্ধপরিকর বলে আশ^স্ত করেন প্রতিবেদককে।
অভিযোগের বিষয়ে আমার বাড়ী,আমার খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক(পিডি) জানান-আমরা ভবনটি মানসম্মত নির্মানের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিয়েছি ভবনটিতে নিম্নমানের উপকরন ব্যবহার ও পুরাতন কিছু ইট,খোয়া ব্যবহার হয়েছে এবং বরাদ্দের টাকা লোপাট হয়েছে মর্মে আমি অভিযোগ পেয়েছি সরকারী টাকা আত্নসাতকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও উম্মা প্রকাশ করে বলেন “আমার বাড়ী,আমার খামার”প্রকল্পের কলারোয়া উপজেলা সমন্বয়কারী বদরুল আলম দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন তিনি সরকারী কোনও নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে কিভাবে সরকারী টাকা নিজের ইচ্ছা মতো তছরুপ করতে পারেনা।