কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ার হিজলদী গ্রামে আদালতের ফৌজদারি আদেশ ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বসতভিটার অমিমাংসিত ১০ শতক জমি রাতারাতি দখল করার প্রতিবাদে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী ও তার শ্যালক হিজলদী গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র আমিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাতারাতি দখলকৃত স্থানের নবনির্মিত ঘরের সামনেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কোন সহিংসতায় না জড়িয়ে তারা সাংবাদিকদের ডেকে দখলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন- হিজলদী মৌজার এস এ ৬৩৪ নং খতিয়ানের ৪৫৫৯ নং দাগের ২০ শতক জমির মধ্যে ১০ শতক জমি আমাদের প্রাপ্য। এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলতে বিধায় তা নিরসনে আমরা আদালতের আশ্রয় নিয়েছিলাম গত ২৯ মার্চ। যাহার পিটিশন মামলা নং ৫৪৮/২২(কলা),স্মারকনং ৮০৬। বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলা নিষ্পত্তির দিন ধার্য করেন ২৫ মে ২০২২। সে তারিখে বাদি বিবাদী আদালতে হাজির হলেও বিচারক না থাকায় পরবর্তি তারিখ ধার্য করা হয় ০৮ আগষ্ট ২০২২। এরই মধ্যে গত ১০ জুন বিকাল ৪টা হতে সারারাত ধরে বিবাদী পক্ষের সিরাজুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম মিলে কতিপয় সন্ত্রাসীদের সহায়তা নিয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে পিটিশন মামলাকৃত বিরোধ পূর্ণ জমি দখল করে ঘর বানিয়ে ফেলে। যাহাতে আমরা হতবাক হয়ে উক্ত স্থানের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা কলারোয়া থানা পুলিশের এস আই আব্দুলাহ আল মামুনকে ঘটনার সময় অবগতি করলেও তিনি রাত প্রায় ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিবাদীদের নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে এবং ঘর ভেঙে নেওয়ার আদেশ দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। তারপরও সারা রাত ধরে সেই ঘরের নির্মান কাজ শেষ করেন বিবাদীগন। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী ও আমিরুল ইসলাম কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।