
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।উপকারভোগী নির্বাচন, উপকরণ নির্ধারন, কাজের গুণগত মান, আর্থিক লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বয়ং উপকারভোগী সহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। এসব অনিয়মের সঠিক তদন্ত ও ন্যায্য প্রাপ্তি বুঝে পেতে নানা অভিযোগ উপস্থাপন সহ মানববন্ধনও করেছে এলাকাবাসী।তবে এ সংক্রান্ত সব দায়িত্ব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার উল্লেখ করেইউএনও তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে সরকার কয়েকটি প্রকল্পের ভূমিহীন, গৃহহীন, দুস্থ, ক্ষতিগ্রস্থদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে কলারোয়া উপজেলায়আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের (ক শ্রেনী) এবং যার জমি আছে ঘর নেই (খ শ্রেনী) এমন ব্যক্তিদের সরকারি অর্থায়নে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।
উপজেলা নির্বাহি অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এ সব প্রকল্পে সরকারিভাবে মোট ১৮০টি ঘর বরাদ্ধ হয়। এর মধ্যে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ২০টি ঘর বরাদ্ধ হয় যার প্রতিটির জন্য বাজেট ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা,যার জমি নেই ঘরও নেই অর্থাৎ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের (ক শ্রেনী)জন্য (৩০+৭০)= ১০০টি ঘর বরাদ্ধ হয় যার প্রতিটির জন্য বাজেট ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা এবং যার জমি আছে ঘর নেই (খ শ্রেনী) এমন ব্যক্তি/ পরিবারের জন্য ৬০টি ঘর বরাদ্ধ হয় যার প্রতিটির জন্য বাজেট ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্যকলারোয়া উপজেলা পর্যায়ে একটি টাস্কফোর্স কমিটি রয়েছেযার সভাপতি হলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তা। এছাড়া একটি পিআইসি কমিটিও রয়েছে।ইতোমধ্যে ক শ্রেনীর বরাদ্ধকৃত ৩০টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং উপকারভোগীদের কাছে উক্ত ঘরের চাবিও হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকীগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
উপকারভোগী, এলাকাবাসী ও রাজনীতি সচেতন মানুষের অভিযোগ, এ প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে। বিশেষ করে ক ও খ শ্রেনীর উপকারভোগী যাচাই বাছাইয়ে খুবই অনিয়ম করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রের অভিযোগ, দরখাস্ত আহবান করে ইউএনও আবেদনকারীদের মধ্য হতে লোক নির্বাচন করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে লোক নির্বাচন করেছেন। এখানে অবৈধ অর্থেরও লেনদেন হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপকারভোগী নির্বাচন, বরাদ্ধকৃত উপকরন ক্রয়, গৃহ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন প্রকল্পের সভাপতি।অবৈধ আর্থিক লেনদেনের কারনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগৃহ নির্মানে যে কাজ করছেন তা একবারেই নিম্নমানের। এখানে যে ইট বালু ব্যবহার করা হচ্ছে তা গুণগত মান সম্পন্ন নয়। ঘরের ভীত মোটেও মজবুত নয়। এভাবে গৃহ নির্মাণ করা হলে তা যেকোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। উপকারভোগীদের জান মালেরর ক্ষতিও হতে পারে।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, খ শ্রেনীর তালিকার ৩৫নং ক্রমিকে উল্লেখিত গয়ড়া গ্রামের শওকাত আলী গাজীর পুত্র জুয়েল হোসেন একজন ধনী শ্রেনীর লোক। তিনি কয়েক একর জমির মালিক। ২২নং ক্রমিকে উল্লেখিত বাকসা কাহারপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের স্ত্রী/কন্যা মারুফা খাতুনও একজন ধনী শ্রেনীর লোক। অথচ তাদেরকে উপকারভোগী হিসেবে তালিকাভূক্ত করে ঘর দেয়া হচ্ছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, হিজলদি গ্রামের আজিজুল মুন্সির কন্যা সালমা খাতুন এবং গয়ড়া গ্রামের সুরাইয়া খাতুন ধনী পরিবারের লোক। তাছাড়া উপকারভোগীর তালিকায়ও তাদের নাম নেই। অথচ তাদের নামে ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।এমনিভাবে অন্যান্য দু’টি তালিকায়ও নানা অনিয়ম দূর্নীতি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যেহেতু প্রকল্প সমুহের সভাপতি তাই তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হস্তক্ষেপে অবৈধ অর্থ বানিজ্যের মাধ্যমে এ সব অনিয়ম দূর্নীতি সংঘঠিত হচ্ছে।আবার কোন কোন ইউপি চেয়ারম্যানও ঘর দেয়ার জন্য উপকারভোগীদের কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।
আরএসব অনিয়ম, দূর্নীতি ও ফাঁকিবাজির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে উপকারভোগী সহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। তারা মানববন্ধন করা সহ নানাভাবে প্রতিবাদ করছেন এই দূর্নীতি ও অনিয়মের। জানা গেছে, উক্ত প্রকল্পের ঘর নির্মানের জন্য উপজেলার রাজাপুর চাররাস্তার মোড়ে কিছু লোহা জাতীয় উপকরণ রাখা ছিল। কিন্তু সে উপকরণগুলো কাউকে কিছু না জানিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এসব অনিয়ম ও অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে গত বুধবার সরেজমিনে গেলে জানা যায় উক্ত প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য রাজাপুর চার রাস্তার মোড়ে রক্ষিত উপকরণগুলো সোনাবাড়িয়া বাজারের জাকির হোসেনের লেদে রয়েছে। ঝাপাঘাটা গ্রামের শেখ রজব অঅলীর পুত্র লেদ মালিক জাকির হোসেনের দেয়া তথ্য মতে ৬০টি লোহার দরজা-জানালা সহ অন্যান্য অনেক পরিমান লোহা লক্কর তার দোকানে রাখা হয়েছে। অবশ্য তিনি বলেন, মালগুলো রাজাপুর চাররাস্তার মোড়ে রাখলে চুরি হতে পারে তাই সাব কন্ট্রাক্টর সুভাষ এর কথায় মালগুলো আমার লেদে এনে রাখা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ইউএনও, চেয়ারম্যান, পিআইও অনুমোতি দিলে সেগুলো কাজে লাগানো হবে অন্যথায় নতুন মাল ব্যবহার করা হবে।
গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কাজে অনিয়ম দূর্নীতির খোঁজ নিতে গত মঙ্গলবার কিছু সংবাদকর্মী ভাদিয়ালিতে গেলে দেখা যায়, সেখানে পূর্বে নির্মিত ঘর ভেঙ্গে পুরাতন ইটপাটকেল স্তুপ করে রাখা হয়েছে। তার পাশেই উপকারভোগীদের জন্য কয়েকটা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। সাধারণত: ইট দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করতে হলে মাটির নীচ থেকে ভীত গেঁথে তার পর প্রথমে বড় পরিসওে এরপর আর একটু ছোট পরিসওে তারপর আরএকটু ছোট পরিসরে ভীতের (পোতা) গাথুনি দিতে হয়। তারপর ভীতের উপর থেকে উপরদিকে দেওয়াল গাথতে হয়। কিন্তু সেখানে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। সেখানে সরাসরি মাটির উপর থেকেই ১০ ইঞ্চি গাথুনি তোলা হচ্ছে। কিছু ১নং ইটের সাথে ২নং এবং স্তুপকৃত পুরাতন ইটও ব্যবহার করা হচ্ছে। বালু সিমেন্টের পরিমানও সঠিক আছে বলে মনে হয়নি। যা শুভঙ্করের ফাঁকিরই নামান্তর।
এ সময় সাংবাদিকদের দেখে তাদের কাছে মৌখিকভাবে নানা অভিযোগ করেন উপকারভোগী সহ সচেতন এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা। নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে এ সময় তারা মানবন্ধন করার পাশাপাশি প্রকল্প সভাপতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তা সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময়এলাকাবাসীর পক্ষে আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, যেখানে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে মূলত: একটি ডোবা ছিল, মাত্র কিছুদিন আগে সেটি কলাগাছ আর মাটিদিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এখনো ঠিকমতো মাটি বসেনি। তাছাড়া নিম্নমানের ও পুরাতন ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। বালু সিমেন্টের পরিমানও ঠিক নাই। তাই এই ঘর টেকসই হবে না । যেকোন সময় তা ধ্বসে পড়তে পারে।
ভাদিয়ালি গ্রামের রকিবুল সরদারের পুত্র উপকারভোগী জুয়েল রানা বলেন, গর্তের মধ্যে এই ঘর করা হচ্ছে। এই ঘর কোনভাবেই টেকসই মজবুত হবে না। তিনি বলেন, আমার জানা মতে, এখানে উপজেরা নির্বাহি অফিসার একদিনও কাজ দেখতে আসেননি।
আলতাফ গাজীর স্ত্রী সাজিদা খাতুন ও শেখ ছাক্কাজ আলীর স্ত্রী সাইফুন্নেছাও একই ধরনের অভিযোগ করেন।
উপকারভোগী ও এলাকাবাসী মানববন্ধনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ঘর বরাদ্ধ দিয়েছেন আমরা সেই মানসম্মত ঘর পাচ্ছি না। এখানে ফাঁকি দিয়ে নিম্নমানের ঘর করা হচ্ছে। আমরা ঘর চাপা পড়ে মরতে চাই না। আমরা শেখ হাসিনা প্রদত্ত সেই মানসম্মত ঘর চাই।
উপকারভোগী আব্বাস উদ্দীন ফকির বলেন, এখানে ভালো ঘর ছিল, আম্ফানেও আমরা তার মধ্যে নিরাপদ ছিলাম।কিন্তু সেগুলো কারা ভেঙ্গে/ খুলে নিয়ে গেছে সাংবাদিকরা এবং প্রশাসন তা তদন্ত করে দেখুক। আর যে ঘর এখন নির্মাণ করা হচ্ছে তা খুবই নিম্নমানের। আমরা বরাদ্ধেও সঠিক বাস্তবায়ন চাই।
সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডেও ইউপি সদস্য রেক্সোনা বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বরাদ্ধ দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এখানে চরম অনিয়ম- দূর্নীতি করা হচ্ছে। এখানকার ইট,রড কে বা কারা নিয়ে গেল তা তদন্ত করে দেখা হোক।
এ সময় সেখানে কর্মরত মিস্ত্রী সেলিম বলেন, এখানে ঘরের যে ভীত নির্মাণ করা হয়েছে তা পুরাতন ইট দিয়ে ঘাঁথা ছিল। ইউএনও ম্যাডাম সাব কন্ট্রাক্টও সুভাষ দাদাকে বলেছে পুরাতন ইটের গাথুনি ভেঙ্গে নতুন ইট দিয়ে গাথুনি করতে। তাই আজ সেগুলো ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। এ সময় তার কাছে এবং সেখানে কর্মরত অন্যান্যদের কাছে সাব কন্ট্রাক্টর ও মূল কন্ট্রাক্টর এর মোবাইল নম্বও চাইলে তারা বলেন আমাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে মূল কন্ট্রাক্টরের সাথে কথা বলার জন্য তাকে খোঁজ করা হলেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ সকল অনিয়ম ও দূর্নীতির ব্যাপারে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নে ঘরের জন্য জায়গা নির্ধারন হয়নি।বিজিবি সীমানার মধ্যে হওয়ায় ক শ্রেনীর ১৫টি ঘরের কাজ বর্তমানে স্থগিত আছে। ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি এই প্রকল্পে কোন প্রকার অনিয়ম বা দূর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানান। এছাড়া তার এলাকার অভিযুক্ত খ শ্রেনীর সুরাইয়া সম্পার্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সুরাইয়া অন্য এলাকার বাসিন্দা ছিল। সে তার ভোটার স্থানান্তর করেছে। সে যে পাকা ঘরে বাস করে সেটি তার পালিত বাবার ঘর।
তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও সুরাইয়াকে উপকারভোগী দেখানো প্রসঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সুরাইয়া নামের যে উপকারভোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে উক্ত সুরাইয়ার জায়গায় মূলত: রুবেল নামে একজন ধনী ব্যক্তির নাম ছিল। তার পরিবর্তে সুরাইয়ার নাম যুক্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্প কমিটির সদস্য উপজেলা প্রকৌশলীর বক্তব্য জানতে গতকাল তার অফিসে যাওয়া হলে তিনি সাতক্ষীরায় একটি মিটিং এ গেছেন বলে তার অফিসের অন্যান্যরা জানান। তাকে অফিসে না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রকল্প কমিটির সদস্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহান এর বক্তব্য জানতে গতকাল তার অফিসে যাওয়া হলে তাকেও ঐ সময় অফিসে পাওয়া যায়নি। তবে এদিন সন্ধ্যায় পূনরায় তার সাথে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে সেটে বন্ধ পাওয়া যায়, ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারেপ্রকল্প কমিটির সদস্য ও কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকতার হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে, নির্দিষ্ট নিয়মেই উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যে সকল তথ্য দরকার সেগুলো নিয়েই উপকারভোগী নির্বাচন করেছি। এখানে কোন অনিয়ম করা হয়নি।
এব্যাপারে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মৌসুমী জেরিন কান্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ইতোমধ্যে ৩০টি ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকীগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।এই প্রকল্পের কাজ ও তার প্রতি উপকারভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি পিআইও’র কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে বলেন, পিআইও এই কমিটির সদস্য, তিনি সবকিছু দেখবেন। উপকারভোগী নির্বাচন সঠিক হয়েছে কি না, উপকরণ গুণগত মানসম্পন্ন কি না, কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না সবকিছু তদারকি করার দায়িত্ব তার। (পিআইও’র) তিনিই সবকিছু ভাল বলতে পারবেন।
তবে পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন যে, উক্ত গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ভূমিহীন সনদ, এসিল্যান্ড প্রদত্ত তথ্য টাস্কফোর্স কমিটিতে যাচাই বাছাই করে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। এখানে কোন অনিয়ম করা হয়নি। আর্থিক কোন অনিয়ম-দূর্নীতিও করা হয়নি বলেও তিনি দাবী করেন।