নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার কলারোয়া প্রাণিসম্পদ অফিসের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হেডক্লার্ক আব্দুর রাজ্জাকের কোটি টাকার উৎস কোথায় এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই আব্দুর রাজ্জাক চাকরির শুরু হতে অদ্যবধি ৩৪ বছর কলারোয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ আফিসের হেডক্লাক হিসাবে চাকরি করে আসছে। যার কারণে অফিসটি তার নিজস্ব সম্পদ হয়ে গেছে। যা ইচ্ছা তাই করেন। কাউকে তোয়াক্কা করেন না। অফিসারদেরকেও ঝাড়ি মারেন। ৩৪ বছরে যতগুলো অফিসার প্রাণী সম্পদের দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন তারা সকলেই তার কাছে জিম্মি।
গোপন সূত্র জানা গেছে যদি কোন অফিসার তার কথা না শুনে সিন্ডিকেট তৈরি করে তাকে অপদস্থ করেছে। তার কথা না শুনলে বিপদ। গত ৩৪ বছরে কলারোয়া প্রাণী সম্পদ অফিসে কোটি কোটি টাকা সরকারি বরাদ্দ এসেছে। এ সকল বরাদ্দে নাম মাত্র উপকৃত হয়েছে খামারিরা ও প্রাণীরা চাষিরা। সমস্ত জায়গায় রাজ্জাকের হস্তক্ষেপ। কলারোয়া উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার খামারি ও সেবা নিতে আসা বিভিন্ন মানুষ রাজ্জাকের কাছে হেনস্তার শিকার হয়। দুব্যবহারের শিকার হয়। সেবা নিতে আসা বিভিন্ন মানুষ সেবা ও পাইনা বরং এই আব্দুর রাজ্জাকের দুব্যবহারের শিকার হয়। সে হেডক্লার্ক হওয়া সত্বেও তার আচার ব্যবহার দেখে মনে সেই অফিসের বস। অফিসের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়।তাছাড়াও তার অত্যাচারে অতিষ্ট অফিসের কর্মচারি ও প্রকল্পে চাকরিরত লোকজন। হেড ক্লার্ক আব্দুর রাজ্জাক হয়েছেন “রাজ্জাক সাহেব” তাকে রাজ্জাক সাহেব হিসাবে সম্ভোধন না করলে তার সমস্য আছে। হোক সে অফিসার বা কর্মচারি বা সাধারণ মানুষ।
একাধিক খামারি জানিয়েছেন সরকারি কোন প্রনোদনা ঔষধ কোন কিছু আনতে গেলেই এই রাজ্জাকের রোশানলের শিকার হতে হয়। টাকা ছাড়া কোন কিছুই চোখে দেখেন না তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি রাজ্জাক। তিনি বলেন টাকাই সব কিছু। মারা গেলে থেকে যাবে শুধু টাকা। আমার মৃত্যুর পর পরিবার পরিজন যাতে রাজার হালে কাটাকা পারে সেই ব্যবস্থা করছি। টাকা থাকলে সব কিছুই হয়।
সূত্র আরো জানায়; তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকচারি বিশেষ ক্ষমাতাধর নিজে সাহেব হওয়া আব্দুর রাজ্জাক বর্তমানে কোটিপতি। সাতক্ষীরা শহরে রয়েছে বিলাশ বহুল অট্টালিকা, গাড়ি। নামে বে-নামে ব্যাংকে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। এই সূত্র আরো জানায় পরিবারের লোকজন বাদেও আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও ঘনিষ্ট জনে কাছে আছে তার কোটি কোটি টাকা। জানা যায় বিভিন্ন ঘনিষ্টজনকে দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় টাকা ইনভেস্ট করে কালো টাকা সাদা কারা চেষ্টায় নেমেছে সে। আব্দুর রাজ্জাকের রয়েছে বিলাশ বহুল জীবনযাপন। বহুতল অট্টালিকা, গাড়ি, নিজের ছেলের বিলাশ বহুল গাড়ি যা মানুষকে বিস্মিত করেছে। কলারোয়ার বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ হেড ক্লার্ক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে তার অবৈধ সকল টাকা খুজে বের করার জোর দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। তারা আরো দাবি করেছেন রাজ্জাকের আগের অবস্থা ও বর্তমান অবস্থা যাতে খুজে বের করা হয়। এ ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাকের বক্তব্য জানতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।