নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়ার দমদম থেকে গয়ড়া বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার সড়ক ও খোরদো থেকে দেয়াড়া ৬ কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণ ও মেরামত কাজে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জিওবি মেইনটেনেন্সের আওতায় গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। সুত্র জানায়, রাস্তা মেরামত ও সম্প্রসারণে দমদম থেকে সোনাবাড়িয়া পর্যন্ত সড়কের কার্যাদেশ পেয়েছে কলারোয়ার ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম এবং সোনাবাড়িয়া মোড় থেকে গয়ড়া বাজার এবং খোরদো থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত সড়কের কার্যাদেশ পেয়েছে খুলনার ঠিকাদার সোহেলের প্রতিষ্ঠান এস আর এন্টারপ্রাইজ। সম্প্রসারণ কাজে রাস্তার উভয় পাশে তিন ফুট করে প্রশস্ত এবং ২২ ইঞ্চি গভীর বেড তৈরির কথা। আব্দুল লতিফ নামের এক পথচারী বলেন, খোরদো- দেয়াড়ার রাস্তার সম্প্রসারিত অংশে রোলার ছাড়াই যে ভাবে কার্পেটিং শেষ করেছে বর্ষা মৌসুম পার হবে কিনা সন্দেহ। রামকৃষ্ণপুরের হবিবর, ভাদিয়ালীর কামরুল জানায়, রাস্তা সম্প্রসারণে বেশীর ভাগ স্থানে বেডের তলদেশ তিন ফুটের কম করা হয়েছে। বেডের তলদেশ সমতল এবং রোলার করা হয়নি। বেডের তলদেশে পড়ে থাকা মাটির উপর বালি দেওয়া হয়েছে এবং বালিতে নামমাত্র খোয়া দিয়ে কোন পানি বা রোলার দেওয়া হয়নি। এরমধ্যে দমদম থেকে সোনাবাড়িয়া পর্যন্ত রাস্তার সম্প্রসারিত বেডে বালির উপরে খোয়া বালির মিশ্রণে সাব বেজ প্রস্তুত এবং তার উপর খোয়া ফেলে ম্যাকাডাম করা পর্যন্ত রোলার করা হয়নি। সম্প্রসারিত রাস্তার ম্যাকাডাম প্রস্তুত করার পরে মূল রাস্তার পুরানো কার্পেটিং তুলে রোলার করা হচ্ছে বলে দমদমের আলফাজ জানায়। সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বেনজির হোসেন এবং শেখ আমানূল্যাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক সোহরাব হোসেন জানায়, রাস্তার এজিং এবং ম্যাকাডামে নিম্নমানের ইটের ব্যবহার করা হয়েছে। থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক ও ভ্যান চলাচলে রাস্তায় ব্যবহৃত খোয়া ভেঙ্গে যাচ্ছে। সাব বেজ পর্যন্ত পানি এবং রোলার না দেওয়ায় রাস্তা কম্প্রাক্সশন যথাযত হয়নি। সোনাবাড়িয়া থেকে গয়ড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুইপাশ গর্ত করে প্রায় ৬ মাস ফেলে রাখার কারণে দূঘটনা নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সোনাবাড়িয়া থেকে গয়ড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার সম্প্রসারিত বেডে ফেলে রাখা বালিতে ঘাস গজিয়ে উঠেছে। এসংবাদ লেখা পর্যন্ত সোনাবাড়িয়া মোড় থেকে গয়ড়া বাজার রাস্তার বেডে দেওয়া বালিতে পানি বা রোলার করা হয়নি জানা গেছে। ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম রাস্তার সম্প্রসারিত বেডে দেওয়া বালিতে রোলার না দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। এব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা প্রকৌশলী সুদীপ্ত কর কলেন, ঠিকাদার অনেক বেশী প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে সুষ্ঠভাবে কাজ সম্পন্ন করা দূরহ হয়ে পড়েছে। এলজিইডি সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কলারোয়ার খোরদো-দেয়াড়া দমদম ও গয়ড়া বাজার সড়ক সম্প্রসারণ মেরামতে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট