
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার কলারোয়ার খোরদো টু কলারোয়ার রাস্তা প্রশস্ত করণ সড়কের ছলিমপুরের হাজী নাসির উদ্দিন কলেজ থেকে খোরদো বাজার পর্যন্ত ধুলা বালির সাগরে ভাসছে। এলাকার সাধারণ পথচারী ও স্কুল গামী ছাত্র-ছাত্রীদের জনজীবন অতিষ্ঠ। প্রতিদিনই ধুলার দূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রাস্তায় চলাচলকারীরা। বেশ কয়েক মাস আগে সড়কের ম্যাকাডোমের কাজ শেষ হয়েছে। সেজন্য সড়কের দুই পাশে মাটি ফেলা হয়েছে। এছাড়া উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়েছে আরো বহু গুণ। এতে প্রতিদিনই ছড়িয়ে পড়ছে ধুলার দূষণ এবং নানা রোগে আক্রান্তের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও স্কুল গামী ছাত্র-ছাত্রীরা। হুমকির মধ্যে পড়েছে এলাকার জনস্বাস্থ্য। এজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই দুষছেন সচেতন মহল। এমনকি ঐ এলাকার আবাসস্থলও বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংশ্লিষ্ট এলজিইডি কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করছেন সাধারণ মানুষ।
পথচারীরা বলেন, অতিমাত্রায় ধুলাবালির কারণে রাস্তা চলাচলে তাদের নানা রোগ-বালাই দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন । কার্যাদেশ পাওয়া ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পি বক্স এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার সোহান বলেন ঐ রাস্তার পাশে স্থাপিত মিতা ব্রিকস, তার মাটি তোলা গাড়ী বেশি চলাচল করার কারণে সড়কের ধুলা বেড়ে গেছে। আমরা সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য সাময়িকভাবে জনসাধারণের সমস্যার জন্য দুঃখিত। আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় এবং অতিমাত্রায় বড় বড় যানবাহন চলায় দ্রæত ধুলা ছড়াচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্যা সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডা: শফিকুল ইসলাম বলেন এখন শীতকালের কারণে বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় শ্বাসকষ্টজনিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। ধুলাবালি থেকে পরিত্রান পেতে হলে সড়কে পানি ব্যবহার ও জনসাধারণকে মাস্ক
ব্যবহার করার পরামর্শ প্রদান করেন।