
সচ্চিদানন্দদেসদয়: করোনা সংকটে আশাশুনির মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো করুণ অবস্থার মধ্যে দিন পার করছেন। দেড় মাস ধরে দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কিন্ডার গার্টেন ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকায় যা সঞ্চয় ছিল তা ভাঙ্গিয়ে এতদিন সংসার চালানোর পর দূর্ভোগে পড়েছে তারা। শিক্ষিত সমাজের এ অংশটি আত্মসম্মানবোধ এবং চক্ষুলজ্জায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা কারো কাছে মুখ ফুটে কিছু চাইতে বা হাত পাততে পারে না। এখন পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা না দেয়ায় আগামীর পথচলা তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। জানা গেছে, উপজেলায় কয়েক হাজার মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে। যারা বিভিন্ন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রায় ২ মাস সমস্ত আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় তারা অর্থ সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। চলমান রোজা ও সামনের ঈদকে কেন্দ্র করে তারা আরও বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন শিক্ষক জানান, তিনি ছাত্র-ছাত্রী পড়িয়ে যা আয় করেন তা দিয়েই মাস সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সংসার চালান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই মাস ধরে কিন্ডার গার্টেন স্কুল ও প্রাইভেটঁ বন্ধ থাকায় বেতন পাননি তিনি। এতে করে আর্থিক সংকটে পড়েছেন তিনি। এদিকে নি¤œ আয়ের একই মানুষ বারবার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাদ্য সহায়তা পেলেও মধ্যবিত্ত পরিবারের কেউ সহায়তা না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। পক্ষান্তরে মধ্যবিত্ত পরিবার পড়েছে খাদ্য সংকটে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আরিফ রেজা বলেন , সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সকলকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।