
সচ্চিদানন্দদেসদয়,আশাশুনি প্রতিবেদক: জোরে শোরে নির্বাচনী আমেজ তৈরি না হওয়ায়ায় ভোট কিংবা ভোটার এ দুটি প্রার্থীদের কাছে এখন গুরুত্ব কম। দলীয় মনোনয়নই মূখ্য। তাই উপজেলা থেকে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আর্কষণে ব্যস্ত সম্ভব্য প্রার্থীরা। কারন দলীয় মনোনয় পেলেই জয় নিশ্চিত এমন ধারনা অনেক প্রার্থীর। এমন বিশ্বাসে এখন রাত দিন প্রাণপন ছুটছেন প্রার্থীরা। একারনে প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের আমেজ থাকলেও ভোটারদের মাঝে তা প্রতীয়মান হচ্ছেনা।
আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষন এখনো চূড়ান্ত না হলেও বসে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে ঠিকে থাকতে ১১টিইউনিয়ন পরিষদের প্রায় দেড় শতাধিক প্রার্থীরা এখন থেকেই শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। শুরু হয়েছে ভোটের আগে প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধ। প্রার্থীদের কাছে এখন ভোটারদের চাইতে কদর বেড়েছে দলীয় নেতা ও স্থানীয় কর্মীদের। ভোটের আগে মনোনয়ন যুদ্ধে যিনি জয়ী হবেন তিনিই এগিয়ে থাকবেন এমনটিই মনে করছেন প্রার্থীরা। তাই আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন তারা। মার্চে সম্ভাব্য ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে এখন থেকেই দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে সরব প্রার্থীরা।
করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ও শুভেচ্ছা সংম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন আর বিলবোর্ড টানানো হচ্ছে স্থানীয় হাট বাজারের লোক সমাগম স্থলে।শীত কালীন খেলা ধুলা সহ নানান অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া প্রার্থীদের নিজেদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা সংম্বলিত লিফলেট আগাম ছেপেও বিলি করেছেন কেউ কেউ। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশলে অনেক আগে থেকেই প্রচারণায় নেমেছেন।
আশাশুনি উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা নিরব হলেও মাঠে সরব প্রার্থীরা। তবে প্রার্থীরা হঠাৎ সরব হলেও তাদের এ তৎপরতা ভোটারকে ঘিরে নয়। ভোটের মাঠে ঠিকে থাকতে দলীয় নেতাদের আর্শিবাদ পেতে প্রার্থীদের এমন আগাম দৌড়ঝাঁপ। কারণ দলীয় নেতারা খোশ হলেই দলের মনোনয়ন পাবেন। আর দলের মনোনয়ন পেলেই দলীয় ভোটও পাবেন। বিজয়ী হবেন এমনটি ধারনা প্রার্থীদের। তাই এখন থেকেই তৃণমূল থেকে উপজেলা,জেলা এমনকি কেন্দ্র পর্যন্ত দলীয় নেতাদের মন জয় করতে প্রার্থীরা ছুটছেন রাত দিন। নেতাদের সাথে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক, আত্নীয়তা কিংবা ব্যাক্তি সম্পর্ক। নেতাদের অবগত করছেন সংগঠনের জন্য নিজের অবদান।
স্থানীয় হাট বাজারের হোটেল ও রেস্তোরাতে চায়ের কাপে ঝড় তোলা আলোচনায় ভোট আর প্রার্থীর চাইতে মূখ্য বিষয় হিসেবে স্থান পাচ্ছে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন নিয়ে। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও মনোনয়নের সরকারী সিন্ধান্তে পক্ষে বিপক্ষে চলছে নানা তর্কযুদ্ধ। এমন সিন্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন সকল দলের ভোট পাওয়া স্থানীয় জনপ্রিয় অনেক জনপ্রতিনিধিরাও। তারা অনেকেই জাতীয় রাজনৈতিক দল গুলোর নেতাকর্মী হওয়াসত্ত্বেও স্থানীয় নির্বাচনে তারা দলের পরিচয় না দিয়েই ভোটারদের মন সহজেই জয় করে নেন। তাই গেল নির্বাচনের মত আবারও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এমনটিই আশংকা তাদের। কারন হিসেবে তারা জানালেন স্থানীয় এ নির্বাচন গুলোতে যোগ্যতার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীদের ভোটদেন ভোটাররা। ওখানে প্রার্থীর নিজ যোগ্যতা ছাড়াও বংশ ও গোষ্টীগত মর্যাদা ও প্রভাব,এলাকা ও অঞ্চল প্রীতি ইত্যাদি নানা বিষয়ই আকৃষ্ট করে স্থানীয় ভোটারদের। দলীয় প্রভাব থাকে খুবিই কম। উৎসবমুখর পরিবেশেই একদলের নেতাকর্মী ও সর্মথক অন্যদলের প্রার্থীদের ভোট দেন। তাছাড়া জাতীয় নির্বাচন ছাড়া তৃণমূলের কর্মীরাও স্থানীয় এ নির্বাচন গুলোতে প্রার্থীদের দলীয় পরিচয় কিংবা প্রতীকে নির্বাচন করতে তেমন আগ্রহী নয়। তাদের ধারনা এতে করে দলীয় অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ ও সংঘাত গ্রাম পর্যায়ে চলে আসে। আগের মত গ্রাম পর্যায়ে আর থাকেনা রাজনৈতিক সৌর্হাদ্য পূর্ণ পরিবেশ। রাজনৈতিক কারণেই দেখা দেয় নানা দ্বন্ধ হানাহানি আর অস্থিরতা। মার্চে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষনার পর থেকেই হঠাৎ করে এখন এমন সরব হয়ে উঠেছেন প্রার্থীরা।এ সকল তথ্য সম্ভব্য প্রার্থী,মাঠ পর্যয়ের নেতা কর্র্মীদের কাছ থেকে।