অবচেতন মনে চেতনার রূপ জাগ্রত করার তুমি এক মস্ত কারিগর। অন্যায়, অসত্য আর অসুন্দরের নিরর্থক চিত্র চিরন্তন সার্থকতার সাক্ষী হয়ে তুমিই তো তুলে ধরেছ আমাদের সম্মুখে। হ্যাঁ বন্ধু আমি একটি দর্পণের কথা বলছি। যে দর্পণে আমরা দেখেছি আমাদের চরিত্রের কলঙ্কিত চিত্র। বিশাল রাজ্যের বিরামহীন গতিধারা সত্যি কি থমকে দাঁড়ালো? না, সে চলছে, তবে অতি ধীরে, অনাহারী এক দুর্বল ক্লান্ত পথিকের ন্যায়। সেদিন থেকে মানুষে মানুষে শুরু হয়েছিল সংগ্রাম আর সংঘর্ষ, বোমা- বারুদের বিকট আওয়াজ।
যেদিন মানুষের চিন্তা শক্তিকে এলোমেলো করে দিল হয়তলবা সেদিন থেকেই মানুষ আলোচনার মিলন ক্ষেত্র ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিল অপরের সমালোচনায়। কিন্তু এ সমালোচনার মাঝে খুঁজে পাবো কি বিশ্ব উন্নয়ন কিম্বা আত্ম উন্নয়নের কোন পথ? সমালোচনার কাছে আজ আমরা দুর্বল। দুর্বলতায় আজ আমাদের উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশ্ব শান্তি আজ বিধ্বস্ত। এসো বন্ধু আমরা সকলে মিলে দুর্বলতাকে প্রতিহত করি, সাহসী হই, আত্ম সমালোচক হই। বন্ধু, পরের সমালোচনা কুড়িয়ে নিজেকে কলঙ্কিত না করে এসো অপরের সুখ্যাতি প্রচার করি, সমালোচনা করি মিথ্যাকে। দেখবো আমাদের চরিত্রের সেই কলঙ্কিত চিত্র মুছে গেছে অজ্ঞাতসারে সবার অলক্ষে।
অপরের সমালোচনার পূর্বে অন্তত একবার ভেবে দেখি আমি আমার আমিটাকে চিনি তো? আজ বিশ্ব উন্নয়নের মাঝপথে দাঁড়িয়ে আমরা যখন পরের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত তখন কি একটি বারের জন্যেও ভাবি যাকে নিয়ে আজ আমরা সমালোচনায় রত তার চরিত্রের কতটুকু জানি আমরা। ফ্রেমে বাঁধানো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে যতই ন্যায়পরায়ণ আর সত্যবাদী ভাবি, বাস্তবতার সামনে ভাষণ দিই, আমাদের হৃদয়ের আয়না যদি স্বচ্ছ না হয় তবে আমাদের চরিত্রে, মনে, ব্যবহারের সত্যের প্রতিচ্ছবি কিছুতেই ফুটবেনা। সফল ও হবে না কখনো নিজেকে বন্ধি রেখে অপরকে মুক্ত করার প্রয়াস। এসো বন্ধু সমালোচনা নয় সত্য আলোচনায় আলোকিত করি আমাদের মিলন তীর্থ।