
আশাশুনি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। আমরা সহিংতা বর্জন করে অহিংসতার সাথে বসবাস করি। আমরা অসুরকে বদ করে আমাদের প্রত্যেকের ভেতরে শান্তি স্থাপন করতে চাই। আমাদের ভেতর কিছু অসুর প্রকৃতির লোক রয়েছে, তাদেরকে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা দরকার। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আশাশুনি সদর দূর্গা পুজা মন্দির প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রনি আলম নূরের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. আ.ফ.ম. রুহুল হক এমপি আরও বলেন, শেখ হাসিনা আছে বলেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, তিনি আছেন তাই বছরের শুরুতেই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই, তিনি আছেন তাই গৃহহীনের গৃহ প্রদান, তিনি আছেন বলেই এ দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। অতএব, শেখ হাসিনা মানে বাংলাদেশ, আর বাংলাদেশ মানেই উন্নয়ন। তিনি বুধহাটা, খাজরাসহ এলাকায় জলবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় সম্ভব সব কিছু করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত কুমার বৈদ্য। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, থানা অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দ্বীপ, শাহনেওয়াজ ডালিম, এস, এম হোসেনুজ্জামান, মাহাবুবুল হক ডাবল, ওমর সাকি ফেরদৌস পলাশ, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম লিটন কুমার মন্ডল, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, আনসার ও ভিডিপি ইন্সট্রাক্টর সুজন কুমার মিত্র প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাদাকাটি ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের অরবিন্দ সানা, প্রতাপনগর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের ডা. বিনয় কৃষ্ণ মিত্র, আনুলিয়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সুপদ মণ্ডল, খাজরা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের দিনের চন্দ্র মন্ডল, শ্রীউলা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের রমেশ চন্দ্র মন্ডল, সহকারী প্রধান শিক্ষক মিলন কুমার মন্ডল, সুরঞ্জন কুমার ঢালী (বড়দল), সুধাংশু যাহা (দরগাহপুর), পরিমল কুমার দাস (কুল্যা), অনাঙ্গ কুমার দাস (বুধহাটা), প্রভাষক রবীন্দ্রনাথ সরকার প্রমুখ। সভায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর্যের সাথে উদযাপনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ, প্রত্যেক পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, রিচার্জার এলইডি লাইট স্থাপনসহ আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে প্রশাসন সম্ভব সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে আশ্বাস প্রদান করা হয়।