
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের আহবায়ক মোঃ আব্দুল লতিফ মোড়লকে বিএনপিতে যোগদান করে সভাপতি পদে নির্বাচন করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ৩ টায় উজিরপুর বাজারে চৌরাস্তা মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
৩নং চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপি ও অংগ সংগঠনের আয়োজনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, প্রায় ৩৩ বছরের বিএনপির পরীক্ষিত নেতা, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চাম্পাফুল ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি গোলাম ফারুক, সাংবাদিক আঃ বারী, ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সিঃ যুগ্ম আগবায়ক বাবু আহমেদ, বিএনপির সাবেক সভিপতি গোলাম ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আঃ খালেক, ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারী তারিক, শ্রমিক দল সভাপতি আঃ গফুর গাজী, সেক্রেটারী জহুরুল মিস্ত্রী, ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি বাবুল গাজী উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। বক্তাগণ বলেন, আঃ লতিফ মোড়ল আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগ কালিগঞ্জ উপজেলা আহবায়ক। তিনি আওয়ামী সন্ত্রাসী, বিএরপির শত্রু। তিনি নির্দ্ধারিত সময় ৩-৫ টা পর্যন্ত নমিনেশন পত্র উত্তোলন করেননি। তার নাম তালিকায় না থাকলেও ভোটার তালিকায় কিভাবে আসলো? আবু বক্কর সিদ্দিকের বিকল্প চাম্পাফুলে নেই। অথচ সভাপতি পদে মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতিকে নির্বাচনের সুযোগ করে দেয়া হলো! ভাবতে অবাক লাগে। জেলা রেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানান হয়। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়নি। ৩ দিনের মাথায় তপশীল ঘোষণা করা হলে আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে যাই, কিভাবে আওয়ামীলীগ নেতা বিএনপিতে প্রবেশ করে জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জানতে চান। কথা বলেন, কিন্তু জেলা নেতৃবৃন্দ ন্যায্যতাকে উপেক্ষা করে সম্মেলনের ব্যবস্থা করেন। আমরা স্কাইফের মাধ্যমে বিএনপির মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে কাহজপত্র পাঠিয়েছি। আমরা অবৈধ পন্থায় অনুপ্রবেশকারী লতিফ মোড়লকে বাদ রাখা হয়েছে, এমন বিশ্বাসে নমিনেশন পত্র কিনি, কিন্তু জমা দেয়নি। ব্যালট পেপারে তার নাম দেখে আমরা নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি। আরও আশ্চার্যের বিষয় হলো, বর্ষিয়ান নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক নমিনেশর পত্র জমা না দিলেও অবৈধ নির্বাচনের ব্যালটে তার নামও রাখা হয়েছে। এতেও প্রমানিত হয় কতটা অনিয়ম করা হয়েছে। বক্তাগণ বলেন, আমরা বিতর্কিত ব্যক্তির নাম বাদ দেয়া, অবৈধ ভোট বর্জনের পরও নির্বাচন পরিচালনা করে জয়ী দেখানো হলে তা বাতিল ঘোষনা করার দাবী জানাচ্ছি। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবনন্ধন করা হয়।