আশাশুনি প্রতিবেদক:
আশাশুনি-কালিগঞ্জ সীমান্তবর্তী একটি মৎস্যঘের নিয়ে প্রতিপক্ষ আহসান গাজীর রোষনলে প্রকৃত জমির মালিক ওমর গাজী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাকে বেদখল করতে থানা পুলিশ করেও শেষ রক্ষা হয়নি আহসান গাজীর। অবশেষে তিনি সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দখল বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কালিগঞ্জকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। সে মতে পিটিশন ৩৪১/২৩ নং মামলাটি সহকারী কমিশনার ভ‚মি’র প্রতিনিধি চাম্পাফুল ইউনিয়নের তহশীলদার সুদীপ সরকারের উপর তদন্তের দায়িত্বভার অর্পণ করেন। সে মোতাবেক সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে উভয় পক্ষের বিজ্ঞ কৌশলীদের উপস্থিতিতে তহসিলদারের নিজ কার্যালয়ে এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরেজমিন ও মামলার বিবরনে জানা গেছে, চাম্পাফুল ইউনিয়নের মশ্বর কাঠি গ্রামের মৃত অমেদ আলী গাজীর ছেলে ওমর গাজী, মৃত মাদার গাজীর অরেশ আব্দুর রহমান সহ কয়েক ব্যক্তির নিকট থেকে চান্দুলিয়া মৌজার বি আর এস ৬১৮, ৬৫০ নং খতিয়ানের ৩১৩০ ও ৩১২৯ নং দাগে ৪৬ শতক জমি প‚র্বাপার হতে অদ্যাবধি ভোগদখলে আছে। একই গ্রামের প্রতিপক্ষ আহসান গাজী উক্ত বেদখলকৃত জমি নিয়ে লোভ বা লাভের বর্শ্ববর্তী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা তহশীলদার সুদীপ সরকার বলেন, গত কয়েকদিন আগে শতাধিক গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে দখলসহ সার্বিক বিষয় তদন্ত করেছি। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কাগজপত্র সহ বিভিন্ন বিষয়ে তফশীল সম্পত্তি নিয়ে আমার অফিসে পুনরায় শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। দখল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানার নির্দেশ মোতাবেক ওমর গাজী অনেক আগেই কেলেম ভুক্ত জমিতে ভেড়ি বাঁধ দিয়ে দখলে রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে প্রতিপক্ষ আহসান গাজী তহশীল সম্পত্তি নিয়ে কোন বলতে রাজি হননি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রকৃত জমির মালিক ওমর গাজী শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে আছে বলে জানা গেছে।