
নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির একযোদ্ধাকে জিজ্ঞাসার নামে তুলে নিয়ে থানায় রাতভর আটকে রাখার অভিযোগে উঠেছে। ওই যুবকের নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন। পেশায় একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। জানা গেছে, ইমরান বাশার নামের এক যুবককে নিয়ে একটি ভিডিও কন্টেন্ট প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করেই তাকে আটক করা হয়। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আটক করা হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া একাধিক নেতা দাবি করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কোনো পর্যায়েই তারা ইমরান বাশারকে উপস্থিত থাকতে দেখেননি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক মুজাহিদ বিন ফিরোজের সহযোগী হিসাবে তাকে দেখা যায়। এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উক্ত কন্টেন্ট প্রকাশের কারণে আমাকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগের ট্যাগ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। আমি শতভাগ নিশ্চিত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাকে ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ইমরান বাশারের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। সামাজিকভাবে আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। একজন জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। আব্দুল্লাহ আল মামুনের বড় ভাই মাহফুজুল্লাহ জানান, গ্রেপ্তারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছিল যে মামুন একজন জুলাই যোদ্ধা। কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। পরে আমার ভাইয়ের অনুরোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক মুজাহিদ বিন ফিরোজকে অবগত করেন। এ বিষয়ে মুজাহিদ বিন ফিরোজ বলেন, ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি যে, আব্দুল্লাহ আল মামুন একজন জুলাই যোদ্ধা। এরপরও তাকে মুক্তি না দেওয়ায় আমি গতকাল রাতেই জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন মামুন নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে না। ইমরান বাশার দাবি করেছেন আমার সাথে মামুনের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় কেউ সুযোগ নিয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছে। দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল্লাহ আল মামুনকে থানায় আনা হয়েছিল। বর্তমানে তাকে তার বড় ভাইয়ের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

