
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বিল্লাল হোসেন। সুযোগ পেয়েছে ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না এমন ঘটনা ফেসুবকের মাধ্যমে দৃষ্টিতে আসে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের। তাৎক্ষনিক উদ্যোগ গ্রহন করে বৃহস্পতিবার ১০ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
বিল্লাল হোসেন কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আমজেদ আলী ও মা তাসমিন আরা খাতুনের ছেলে। কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও কলারোয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় বিল্লাল।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের মানবিক এ কর্মকা- ও বিল্লালের শিক্ষা জীবনের চিত্র নিয়ে সংবাদ করতে গিয়ে সৃষ্টি হয় বিভ্রান্তির। বিল্লাল হোসেন ও তার মা তাসমিন আরার সঙ্গে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তখন তারা উভয়ই জেলা প্রশাসকের সহায়তার কথা জাগোনিউজ প্রতিনিধির কাছে গোপন করেন।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টাকা দিলেন ডিসি, অস্বীকার করলেন শিক্ষার্থী” শিরোনামে জাগো নিউজে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিকভাবে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন ও জাগোনিউজ প্রতিনিধিকে মুখোমুখি করা হয়। সেখানে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনেন জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল।
এ সময় জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জাগোনিউজকে বলেন, মানবিক কারণে ছোট খাটো যে বিষয়গুলো সেগুলো আমার দৃষ্টিতে আসলেই আমি চেষ্টা করি সহযোগিতা করার। তেমনই বিল্লাল হোসেন টাকার অভাবে ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারছে না এমন ঘটনা দৃষ্টিতে আসার পর তাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দশ হাজার টাকার একটি চেক দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। এ সময় বিল্লাল হোসেনের মা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিল্লাল হোসেন মেধাবী শিক্ষার্থী। বড় হওয়ার জন্য অভাব কোন বাঁধা নয়। আমি বিশ্বাস করি ও দোয়া করি লেখাপড়া শিখে সে অনেক ভালো কিছু করবে, মানবিক মানুষ হবে। সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তারও লেখাপড়ার জীবনে ভবিষ্যত রয়েছে। এটাও চিন্তা করতে হবে। সংবাদকর্মীদেরও সমাজের সকল চিত্র, উন্নয়ন, অসঙ্গতি ও মানবিক বিষয়গুলো পেশাদারিত্বের সঙ্গে তুলে ধরার আহব্বান জানাবো।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থী বিল্লাল হোসেন বলেন, বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেদিন আমি বুঝতে পারিনি আর বিভিন্ন প্রশ্নের কারণে ভীতিকর অবস্থায় পড়েছিলাম। যার জন্য এমন হয়েছে। জেলা প্রশাসক স্যার আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সহযোগিতা করেছেন। লেখাপড়ার ব্যাপারে কোন অসুবিধায় পড়লে যোগাযোগ করতে বলেছেন। আমি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। স্যারের সহযোগিতা পাওয়ার পর আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সমস্যা দূর হয়ে গেছে।