
নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগরের বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি নুরুল হক সরদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ১ লাখ টাকা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জোর করে আদায় করে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় ব্যবাসায়ী আব্দুস সালামকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম জানান, তিনিসহ চারজন ব্যবসায়ী কৃষ্ণনগর বাজারের পাশে ৩৮ শতক জমি কিনেন মৃত বিমল মাস্টারের স্ত্রী সেতা রানীর কাছ থেকে। বর্তমানে তারা ওই জমি ভোগ দখলে রয়েছেন। কিন্তু জমির মালিক সেতারা রাণী জমি ফিরে পেতে আদালতে মামলা করেছেন। মামলার সুযোগ নিয়ে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি দীর্ঘদিন যাবত জমির বিষয়ে তাদের কাছে টাকা দাবি করে আসছিলেন।
পরবর্তীতে উপায় না পেয়ে ৪ জন জমির মালিক সভাপতি নুরুল হককে ১ লক্ষ টাকা দেন। এতে ক্ষান্ত হননি আরো ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে ব্যবসায়ীদের চাপ প্রয়োগ করেন সভাপতি। সম্প্রতি তার চাহিদা মতো টাকা না দিলে ওই জমি দখল করে নেওয়ার হুমকি প্রদান করছেন তিনি। চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে নুরুল হকের সাথে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ডিং আছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ী সালাম।
কৃষ্ণনগর যুবদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি নুরুল হক সরদার ব্যবসায়ী আব্দুস সালামদের কাছে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন। এই সব চাঁদাবাজদের জন্য দলের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। নুরুল হকের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপির নেতাদের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন কৃষ কদলের সাবেক আহবায়ক মতিউর রহমান জানান, ব্যবসায়ী সালামের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের বিষয়টি তিনি জানেন। তার সামনে থেকে ওই টাকা নেন নুরুল হক।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি নুরুল হক সরদার বলেন, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তার ইউনিয়নে কেউ বলতে পারবেন না তিনি কারো কাছ থেকে একটি টাকা নিয়েছেন। টাকা চাওয়ায় বিষয়ে ব্যবসায়ী সালামের কাছে অডিও রেকর্ডিং বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন। ব্যবসায়ী সালাম তার কাছ থেকে প্রায় সময় টাকা ধার নেন ওই সংক্রান্ত হয়তো কোন রেকর্ডিং তার কাছে থাকতে পারে।