
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় শিশুদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পের সফল সমাপ্তি উপলক্ষে লার্নিং শেয়ারিং সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় একটি পাঁচ বছরের প্রকল্পের সফল সমাপ্তি উপলক্ষে লার্নিং শেয়ারিং শীর্ষক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট ‘২৫) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিলের পরিচালক ডা. তাহেদুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ফিল্ড অপারেশন বিভাগের উপ-পরিচালক রাজু উইলিয়াম। এছাড়া অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশনের রাইট টু গ্রো প্রজেক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইকবাল আজাদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসলাম, পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক রওশন আরা জামান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিষ্ণুপদ বিশ্বাস, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সঞ্জিত কুমার দাস, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন এর রাইট টু গ্রো প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার জগম্ময় প্রজেশ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছিল না। এ পরিস্থিতিতে ২০২২ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ‘রাইট টু গ্রো’ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিতে কাজ করার পাশাপাশি ওয়াশ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হয়, যা তাদের সুস্বাস্থ্যের দিকে এক ধাপ এগিয়ে নেয়। প্রকল্পটি সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হওয়ায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে শিশু পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে আরও কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা এই প্রকল্পের সুফল হিসেবে উল্লেখ করেন যে, শিশুদের পুষ্টি উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভায় বক্তারা এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নকে একটি উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই মডেল অনুসরণ করে অন্যান্য জেলা ও উপজেলায়ও এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা শিশু পুষ্টি উন্নয়নের এই উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করতে এবং ভবিষ্যতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে শিশু পুষ্টি সংক্রান্ত বরাদ্দ রাখার জন্য সুপারিশ করেন।