
তালা অফিস থেকে নজরুল ইসলামঃ
প্রবল বর্ষণের ফলে তালায় ১২ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। কৃষকদের সবজির ক্ষেত ও আমন ধান পানি নিচে। গ্রামকে গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। কাঁচারাস্তা পিচেররাস্তা ইটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন রাস্তা পানির নিচে। বাড়ি ঘরে উঠানে পানি মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা মারাত্নক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষত্রিগ্রস্ত হয়েছে তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন। বিশুদ্ধ খাবার পানির চরম সংকট। কেশবপুরে ভদ্রা নদীর উজানের পানি তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শিরাশুনী গ্রামে প্রবেশ করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে গ্রামের মানুষ। সরকারী বে সরকারী কোন সহযোগিতা পায়নি ক্ষতিগ্রস্তরা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপা রানী সরকার জনকল্যাণে নিবেদিত হয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে তালা দধিসারা বিল হয়ে জেয়ালা ঘোষপাড়া ও ডুমুরিয়া কুলপোতা স্লুইস গেটে পর্যন্ত সরকারী খালের মধ্যে কচুরিপনা ও মছাধরা পাটা দিয়ে পানি নিষ্কাশনের বাঁধাগ্রস্ত করছে। কচুরিপনা ও নেটপাটা অপসারণে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পাঁরোখী গ্রামের আব্দুস ছাত্তার শেখ জানান, পাঁচরোখী গ্রামের একাংশ পানিতে ডুবে আছে। পাঁচরোখী বিলে পাট লাগানো ছিল। পানিতে বিল ডুবে থাকায় কৃষকরা পাট কাটতে পারিনি। অনেক কৃষক আউশ-আমন ধান পানির তলে ডুবে গেছি।
শিরাশুনি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ড্রাইভার জানান,শিরাশুনী গ্রাম ও জনগণের চলাচলের রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। কৃষকরা কাঁচা ফসল পানির নিচে মানুষ কষ্টে আছে। প্রতি বছর ৬ মাস পানিতে ডুবে থাকে এর কোন সমাধান সরকার করল না!
এদিকে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম। খেশরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া শাহাজাতপুর গ্রাম কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিতর আশংকা,কলাগাছি,শালিখা বিল প্লাবিত। নগরঘাটা ইউনিয়নের গাবতলা গ্রাম,তালা ইউনিয়নের অধিকাংশ নিচু গ্রাম ও বিল প্লাবিত। সরুলিয়া ইউনিয়নের বড়বিলা ও শাকদহ বিল প্লাবিত। ইসলামকাটি ইউনিয়ন খরাইল,ভবানীপুর, চলিশারবিল কাজিডাঙ্গা বিল। কুমিরা ইউনিয়নের মির্জাপুর বিল সহ কয়েক বিল প্লাবিত।মাগুরা ইউনিয়ন মাদরা বিল,জালালপুর ইউনিয়ন,খলিষখালী ইউনিয়ন দেলুয়া,ধানদিয়া ইউনিয়নসহ ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ বিলের ধান ও উঁচু জমির ফসল পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। সব ইউনিয়নের কাঁচা ফসল,হলুদ ক্ষেত,সবজির ক্ষেত,কাঁচা ঝাল ,বেগুন ক্ষেত সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রবাদি মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।
কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন এর নিকট কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ও তাদের পুনঃবাসনের লক্ষ্যে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সরকারের নিকট প্রস্তাবনা প্রেরণ করেছেন কিনা জানতে চাইলে,তিনি জরুরী মিটিং রয়েছেন মর্মে জানান।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপা রানী সরকারের এর নিকট সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন তেঁতুলিয়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে সরকারের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয় ও তালা সদর ইউনিয়নের শিবপুর কেরামত আলী খাঁ সাহেবের ঈদগাহ হইতে মাঝিয়ারা শাহাপুর দধিসারা জেয়ালা হলে ডুমুরিয়া কলাপোতা স্লুইস গেট পর্যন্ত কচুরিপনা ও নেটাপাটা দিয়ে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধিকতা তৈরী করা হচ্ছে এবিষেয় দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান,তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে কচুরিপনা অপসারণের কার্যক্রম চলছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে কয়েকবার তিনি সরেজমিনের পরিদর্শন করেছেন। অদ্য মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় শিরাশুনী এলাকা পরিদর্শন করবেন। তালা সদর ইউনিয়নের শিবপুর,জেয়ালা দধিসারা শাহাপুর খালের ভিতর কচুরিপনা অপসারণ করার জন্য উত্তরণ এনজিও পদক্ষেপ নিবে বলে জানান।