
আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়ায় বেতনা নদীতে খনন কাজের জন্য আড়াআড়ি মাটির বাঁধ কেটে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ফলে বুধহাটা ইউনিয়নসহ বেতনা নদীর উত্তর প্রান্ত ঝাউডাঙ্গা ও সংলগ্ন এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কার্যকর হতে চলেছে।
উপজেলার বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খনন কাজ চলছে কয়েক বছর। কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। বেতনা নদীর চাপড়া গ্রামের কাছে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদীর প্রবাহ বন্ধ করে খনন কাজ চলছিল। সম্প্রতি প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বুধহাটা ইউনিয়নসহ ঝাউডাঙ্গা পর্যন্ত নদী সংশ্লিষ্ট এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘরবাড়ি, স্থাপনা, মৎস্য ঘের, বাগান সবকিছু জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গত বছরও এলাকার অনেক ঘের, বিল, ফসলের ক্ষেত, ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছিল। অনেক এলাকায় আমন ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়নি। পরিকল্পনার অভাব, কাজের ধীর গতি ও বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না রাখায় জেলার মানুষ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার জামায়াত নেতা জজ কোর্টের এপিপি এড. শহিদুল ইসলাম, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মাহবুবুল হক ডাবলু, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ হান্নান, বৈকারি সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ হাসান, সাবেক আশরাফ হোসেন প্রমুখের নেতৃত্বে বাঁধটি কেটে পানি প্রবাহ চালু করা হয়। ফলে এলাকার জলাবদ্ধতা হ্রাস পেতে শুরু করেছে।
জামায়াতে ইসলামী স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বৃষ্টি শুরুর পর এলাকার জলাবদ্ধতার পরিনতি থেকে রক্ষা পেতে জেলা আমীরের কাছে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান হয়। জেলা আমীর পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে বৈকারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ হাসানকে পাঠান। তার রিপোর্ট পাওয়ার পর জেলা আমীর জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় করেন। জেলা প্রশাসকের মতামতের ভিত্তিতে বৃহন্পতিবার বাঁধ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাঁধ অপসারন করা হয়েছে।