
দেবহাটা প্রতিনিধি: উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে তদন্তাধীন মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দেবহাটার ৪ ব্যবসায়ী। বুধবার (১৮ জুন) দেবহাটা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার উত্তর সখিপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহিউদ্দীন মাহমুদ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি জানান, সোস্যাল ম্যার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট (এস,এম,এম) গ্রুপ নামের আমাদের একটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার অংশীদার সোলাইমান হোসেন, মাওলানা শামসুল আরেফ, আব্দুল গফুর সরদারসহ আরও একজন রয়েছে। আমাদের অপর অংশিদার মাহবুব আলমের আহবানে আমরা চারজন সংশ্লিষ্ট হয়ে এস,এম,এম গ্রুপ নামে হাঁস-মুরগি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা শুরু করি। সরল বিশ্বাসে আমরা ২২ বাইশ লক্ষ পঁচাশি হাজার টাকা তার হাতে নগদে প্রদান করি। কথা ছিল প্রতি মাসে মিটিং এর মাধ্যমে সকলের কাছে হিসাব দিবে এবং পরামর্শ করে ব্যবসা পরিচালনা করবে। কিন্তু সে নিয়মিত মিটিং ও পরামর্শ ছাড়াই নিজের ইচ্ছা মতো ব্যবসা করতে থাকে। আমরা হিসাব ও মিটিং এর কথা বললে ব্যবসায়ের ব্যস্ততা দেখিয়ে বিলম্ব করতে থাকে। সে ব্যবসায়ে সন্তোষজনক হারে লাভ হচ্ছে বলে শান্তা দিত। মাঝে মাঝে চাপ সৃষ্টির ফলে মিটিং এ বসলে হাতে লেখা কয়েক দিনের কেনা-বেচার হিসাব দেখিয়ে সময় ক্ষেপন করার কৌশন অবলম্বন করতো। ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে প্রায়ই সময় খুলনা ও ঢাকায় অবস্থান করতেন। সেই সাথে ব্যবসায় আরো অতিরিক্ত বেশি টাকা দরকার বলে প্রায়ই টাকা পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করায় আমরা বিভিন্ন ভাবে টাকা সংগ্রহ করে তার নির্দেশ মত মাহবুবের আত্মীয় স্বজনের নিকট নগদসহ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করি। এক পর্যায়ে তার দেওয়া হিসাবে গরমিল হওয়ায় তার কাছে সঠিক হিসাব চাইলে সে সুষ্ঠু হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়। তার প্রতারনার বিষয়টি প্রমানিত হলে সে নিজেই দোষ স্বীকার পূর্বক জমি বিক্রি, ঘেরের মাছ বিক্রি করে আত্মসাৎকৃত টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন অর্থ পরিশোধ করেনি। পরবর্তী আলোচনা সভাগুলোতে ইচ্ছাকৃত ভাবে অনুপস্থিত থাকে। এক পর্যায়ে সে মোবাইল ফোন রিসিভ করা থেকেও বিরত থাকে। তাকে খুঁজে না পেয়ে গত ইং ২০ মে বিকাল আনুমানিক ৪ টায় আমরা চারজন তার বাড়িতে যেয়ে তার মাতা-পিতাসহ অভিবাবকদেরকে ব্যবসায়ের প্রতারণার বিষয়টি অবগত করি এবং মাহাবুবের সন্ধান জানতে চাই। একই সাথে আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধের দাবী জানাই সে সময়ে তারা টাকা পরিশোধ করতে পারবে না, পারলে আদায় করে নিও সহ উত্তেজিত ভাবে বিভিন্ন প্রকার অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও ভয় ভীতি দেখিয়ে আমাদেরকে হাকিয়ে দেয় তার পরিবার। পরবর্তীতে আমাদের অভিবাবকবৃন্দ তার বাড়িতে সুষ্ঠ সমাধানের প্রস্তাব নিয়ে গেলেও তারা নাকচ করে দেয়। সমাধানে বসবে না, কোন টাকাও দিবেনা বলে তাদেরকেও ফিরিয়ে দিলে বাধ্য হয়ে সুবিচারের প্রত্যাশায় বিজ্ঞ আমলী আদালত নং-০৭ সাতক্ষীরাতে- সার্বিক হিসাবঅন্তে ৪২ লক্ষ,৭৬ হাজার,৬৯৬ টাকা আদায়ের লক্ষ্যে একটি মামলা রুজু করি। যা বর্তমানে দেবহাটা থানায় তদন্তাধীন আছে। তিনি আরো জানান, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ০২ জুন মামলা দায়েরের পরদিনই ৩ ও ৬ জুন কেনো যাবো। তিনি আরো বলেন, গত ১৭ জুন বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত পত্রিকায় বালিকৃষ্ণপুর (কামটা) গ্রামের হাকিম সরদারের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা খাতুন ও দেবহাটার বসন্তপুর এলাকার আবারুল ইসলাম যে বক্তব্যটি সম্পর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুয়ারা খাতুন দাবি করেছেন তার গোয়ালের গরু নেওয়ার চেষ্টা, অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করা ও ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর বিষয়টি সম্পর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা মঞ্জুয়ারা খাতুনের বাড়িতে আদৌ যাই নি। সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তদন্তাধীন মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত, আমাদের সম্মানহানি ও চরিত্র বিতর্কিত করার অপচেষ্টা মাত্র। আমরা বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমরা যাতে সুবিচার পায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও তদন্তকারীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী সোলাইমান, শামসুল আরেফ, আব্দুল গফুর সরদার।