
নব কুমার দে (তালা থেকে) :
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ৫ নং তেতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের সন্তোষ ঘোষের জ্যেষ্ঠ পুত্র সঞ্জয় কুমার ঘোষ(৪৯) এর মৃত্যু আত্মহত্যা না হত্যা এই নিয়ে এলাকার জনগণের মনে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৩১ মে (শনিবার) রাত ৯ টায় সঞ্জয় ঘোষ কলাপোতা বাজার হতে কাটিপাড়া যাওয়ার পথিমধ্যে অশোক কুমার দাশ,পিতা-মনোরঞ্জন দাশ, গোপাল কুমার দাশ, পিতা- তারক দাশ,ডিপজল দাশ, পিতা – স্বপন দাশ, মিন্টু দাস, পিতা- সন্তোষ দাশ, উজ্জ্বল দাশ, পিতা -দুলাল দাশ সহ অনেকে সর্ব সাং কাটিপাড়া।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে বেধড়ক মারপিট করে এবং অশোক কুমার দাশ এর বাড়িতে আটকে রাখে। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন সরদার বলেন, রাত ১১টার সময় সঞ্জয়ের মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে কল আসে। সঞ্জয় বলে আমাকে কাটিপাড়া অশোক দাশের বাড়িতে মারধর করে উক্ত ব্যক্তিরা আটকে রেখেছে আমাকে উদ্ধার করেন। তখন আমি ওই রাতে কলাপোতা গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলাম রবিকে সাথে নিয়ে ঘটনা স্থলে যায়। সেখানে গিয়ে ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শংকর কুমার দাশকে ডেকে নিই এবং আমরা দুই ইউপি সদস্য সঞ্জয় কুমার কে উদ্ধার করার চেষ্টা করি। তখন অসোক কুমার দাশ বলেন, আমি নিজে গিয়ে সঞ্জয়কে তার বাড়িতে পৌঁছে দেব।
আমাদের দুই ইউপি সদস্যকে অপমান অপদস্ত করে। তারপর দিন ভোর বেলা সঞ্জয়ের বাড়ির পাশে আম গাছে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে সাংবাদিকরা ৯ জুন সোমবার দুপুর ১ টায় অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। সবাই ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে। সেজন্য অভিযুক্তদের বক্তব্য নেওয়া সাম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শংকর কুমার দাশ ও ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন সরদার,মোঃ রবিউল ইসলাম রবি, মোঃ আনিসুর দফাদার সহ স্থানীয় জনগণ বলেন, এই মৃত্যুর সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সঞ্জয় ঘোষের স্ত্রী রিংকু রানি ঘোষ ও তার ছোট ভাই মৃত্যুঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, আমার স্বামী ও আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।
এ বিষয়ে তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, সঞ্জয় কুমার ঘোষের অপমৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মার্গে পাঠানো হয়েছিল। কোন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানায় কোন মামলাও হয়নি।