শ্যামনগর ব্যুরো: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর কয়েকদিন দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়। এ সুযোগে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন বাজার গুলিতে চলে দখল প্রতিযোগীতা। বিশেষ করে হরিনগর বাজার ও নওয়াবেকী তোহা মার্কেটে সরকারি জায়গা দখলে নিতে থাকে এক শ্রেণির মানুষ। হরিনগর বাজারে কতিপয় ব্যক্তি সরকারি গাছ কেটে আত্মসাৎ সহ সরকারি জায়গা দখল করে সেখানে ঘর নির্মান শুরু করে। বর্তমান প্রশাসনিক ব্যবস্থা সচল হলেও শ্যামনগর উপজেলার হরিনগর ও নওয়াবেকী বাজারে সরকারি জায়গা অবৈধ দখল নিয়ে স্থাপনা গড়ে তোলা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন হস্তক্ষেপ। স্থানীয় ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, হরিনগর বাজারে এলাকার আমিন মোড়লের ছেলে সৈয়দ আলী মোড়ল, গার্মেন্টস দোকানদার জাহাঙ্গীর, হানিফ গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম, হোটেল মুকুল, আরশাদ মিস্ত্রি ছেলে মামলা মিস্ত্রি ও ছবেদ আলীর ছেলের শহিদুল ইসলাম বাজারের মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকার সরকারি গাছ কেটে আত্মসাৎ করেছে। তবে এ বিষয়ে সৈয়দ আলী গাছ কাটার কথা অস্বীকার করলেও গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর জানান, তার দোকানের সামনের গাছ সৈয়দ আলী কেটে নিয়েগেছে। হোটেল মুকুল জানান, তার দোকানের সামনের গাছ আমি কাটি নাই কে বা কারা কেটে নিয়েছে। অবৈধভাবে ঘর নির্মাণকারীরা হলো বাণীব্রত মন্ডল, শ্যামাপদ মন্ডল, হযরত আলী লন্ডি, শহীদ মোড়ল, আক্তারুল মোড়ল, কওসার মোড়ল, শ্যামসুন্দর মন্ডল, আব্দুল গফফার মোল্লা, নজরুল ইসলাম, শাহরিয়ার মোড়ল, ইন্দ্রজিৎ মন্ডল, সঞ্চয় মল্লিক, আশুতোষ মোস্তফা গাজী, কামরুল সুবান গাজী ও বিকাশ মণ্ডল। এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি, আমার আসার পূর্বে যিনি এখানে দায়িত্বে ছিলেন তার সময়ে বাজারে জায়গা দখল হয়েছে। আমি আসার পর বিষয়টি আমার উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে, শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত সাহেব হরিনগর বাজারে এসে সরেজমিনে দেখে ঘর বাধার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। যারা স্থাপনা নির্মান করেছে তাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বৈধ কাগজপত্র করার জন্য ১৫ দিন সময় দেন। অথচ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অবৈধ দখলদাররা ঘর নির্মান বন্ধ করেননি। তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)আব্দুল্লাহ আল রিফাত সরকারি ট্রেনিং এ থাকায় তার মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।