বিশেষ প্রতিবেদক :
কালীগঞ্জে উপজেলার নলতা,ভাড়াশিমলা, কালীগঞ্জ,মহৎপুর সহ বারোটি ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অবৈধ ক্লিনিক ব্যাবসা।রোগীরা সর্বশান্ত হলেও অজ্ঞাত কারনে সিভিল সার্জন রয়েছেন নিরব। সরেজমিন পরিদর্শন ও ভুক্তভোগীরা জানান,কালীগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বৈধ ও অবৈধ ক্লিনিক ব্যাবসা।
খোজ নিয়ে জানা যায়,এসব ক্লিনিক ব্যাবসায়ীরা ডাক্তার ভিজিটে নামে বেতন ভুক্ত লোক নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন।কেউ অসুস্থ হলেই ডাক্তারদের কাছে গেলে উক্ত ডাক্তাররা পাঠেয়ে দেন উৎকোচ পাওয়া ক্লিনিক গুলোয়।তারপরে রোগীরা ক্লিনিকে গেলেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে রোগীদের সর্বশান্ত করে ফেলছেন।পরীক্ষা নিরীক্ষার ওখান থেকেও তারা পাচ্ছেন কমিশন। প্রতিটি ক্লিনিকে রোগী দেখা ডাক্তাররা কেউ কেউ মাসিক চুক্তিতে বিক্রি,,আবার কেউ কেউ বা উঠকোচ নেন ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভদের নিকট থেকে।
যে কারনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ প্রিসক্রিপশন করে রোগীদের নি:স্ব করে ফেলছেন।এছাড়াও ক্লিনিক মালিকেরা নিয়মিত প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে রোগীদের আকৃষ্ট করছেন।ক্লিনিক মালিক গুলো যেন ঘুঘু ধ্ররার ফাদ পেতে বসেছেন,আর ডাক্তার সেবার বদলে করছেন প্রতারনা।
যেসব ডাক্তার কসাইতে পরিনত হয়ে রোগী ও তার আত্মীয় সজনদের সর্বশান্ত করছেন, আর যে সমস্থ রেজিষ্ট্রেশন বিহীন অসাধু ক্লিনিক ব্যাবসায়ীরা ঘুঘু ধরার ফাদ পেতে বিপদগ্রস্ত মানুষ কে আরো বেশি বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন,তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য ভুক্তভোগী সহ সচেতন কালিগঞ্জবাসী সিভিল সার্জনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।