নিজস্ব প্রতিবেদক: হুমকি দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মাথায় ঝাউডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে যুবলীগ নেতা ও লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থক বাহিনী। ঘটনাটি ২৫ডিসেম্বর সোমবার ৫টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঘটে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গোবিন্দকাটি গ্রামের মতিয়ার শেখের ছেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী মিলন শেখ ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রবেশ করে সেখানে উপস্থিত ঈগল প্রতীকের সমর্থক ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেতা অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ, সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য আজাদ হোসেন, ইউপি সদস্য আলি বক্স, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুর রাজ্জাককে হুমকি দিয়ে বলে, ‘এটি মহাজোটের অফিস। এখান থেকে বেরিয়ে যা। এর পাঁচ মিনিটের মাথায় লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থক ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে ৫-৭জন লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। সেখানে উপস্থিত সকলকে এই বলে হুমকি দেয় যে, ‘এখান থেকে বের হবি না মার খাবি। সাথে সাথে তারা অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ ও সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনসহ উপস্থিত অন্যান্যদেরকে জামার কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস থেকে বের করে দেয়। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করে। তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাটি আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর নজরে গেলে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি তদন্ত নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে যায়। মারধোরের শিকার ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি মিমাংসার জন্য পুলিশ দলের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়। পুলিশ দলের উপস্থিতিতেই আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থক বাহিনী অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ ও তার সঙ্গীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। দৈনিক সাতনদীকে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী জানান ২৪ ডিসেম্বর রবিবার যুবলীগ নেতা খালেক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ঘোষণা দেয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সভাপতি রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে ঢুকতে দেয়া হবে না। এ হুমকির ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই লাঙ্গরে সমর্থক ও যুবলীগ নেতা খালেকের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটলো। তবে নাম প্রকাশে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা জানান এ হামলার পেছনে শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের মদদ আছে।
সর্বশেষ পওয়া খবরে জানা যায়, লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থক ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক ও নৈশ প্রহরী মিলন শেখ ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্র নাথের কাছ থেকে শুনাবুঝার জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম সাতনদীকে জানান, ‘সকলের কাছে শুনাবুঝা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
সাতনদীকে আব্দুল খালেক জানান, আমার ভুল হয়েছে। ঘটনাটি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করছি।