
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি থেকে: সাতক্ষীরা-আশাশুনিতে নির্বাচন উপলক্ষে ও শীত কে সামনে রেখে বেড়ে চলেছে চায়ের চাহিদা। এর সঙ্গে এবার শীতের মধ্যেই পড়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ফলে এখন নির্বাচনী বাতাস তুঙ্গে উঠেছে আশাশুনির প্রত্যেকটি গ্রামগঞ্জে। সারা উপজেলায় এখন চায়ের স্টলগুলোতে জমজমাট আড্ডা। নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে চলছে চা-নাস্তার আয়োজন। এতেও থাকে চা। ভোটারদের বাড়িতে প্রার্থীদের সম্মানেও অনেকে চায়ের আয়োজন করছেন। সব এখন জমজমাট চায়ের কাপের আড্ডা। শীত ও নির্বাচন এই দুই কারণে দেশে চায়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। চায়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয় উপকরণ চিনির চাহিদাও বাড়ছে। এর সঙ্গে আছে রুটি ও বিস্কুট। শহরে ও গ্রামে নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মকাÐ ঘিরে জমে উঠেছে চায়ের দোকানগুলো। চায়ের স্টলগুলোতে বসে নির্বাচনী আড্ডা চলছে। একই সঙ্গে প্রার্থীরা বা প্রার্থীর পক্ষের লোকজন বসে প্রচার করছেন। এরই ফাঁকে চলছে চা পান। সে সঙ্গে প্রার্থী ও সমর্থকদের বাড়িতেও চায়ের আপ্যায়ন বেড়েছে। আশাশুনির বুধহাটা বাজারের ঠাকুরমোড়ে অনন্ত পাঁচটি চায়ের দোকানে ভোর ছয়টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে চা বিক্রির ধূম। বিক্রেতারা চা সরবরাহ করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। একাধিক বিক্রেতা জানান, সাধারণ সময় যেখনে সারাদিনে ১৫০-২০০ কাপ চা বিক্রি হতো। এখন প্রায় ৩০০-৫০০ কাপ চা বিক্রি হচ্ছে। ফলে তাদের চিনি, চা পাতা এবং দুধ বেশি বেশি কিনতে হচ্ছে। চা বিক্রেতা আবদুল মান্নান জানান, এখন অনেক রাত পর্যন্ত সরগরম থাকছে এ মোড় টি। ফলে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড় লেগেই আছে। সে সঙ্গে সাধারণ মানুষেরও আনাগোনা বেড়ে গেছে। সবকিছু মিলে ভালোই বিক্রি করছি। এখন সেখানে প্রায় ৩০০ কাপ চা বিক্রি হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন যতই কাছাকাছি আসবে ততই চা বিক্রি বেড়ে যাবে। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। আশাশুনির খাজরা টি-স্টলের মালিক নজরুল জানান, আগে যেখানে সারাদিন এক কেজি চা পাতা হলেই চলতো, এখন লাগছে দুই কেজি পর্যন্ত চা পাতা। অর্থাৎ বিক্রি দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে। চিনিও লাগছে অনেক। একই সঙ্গে গ্রামের স্বল্প পূজিতে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য চায়ের দোকানের পরিধি বাড়ছে। শহুরের কালচারের গ্রামের জীবনযাত্রায় চায়ের ব্যবহার বেশি হওয়ায় দেশে পানীয় পণ্যটির ব্যবহারে চাঙ্গাভাব হয়ে উঠেছে।