নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামনগর উপজেলার নয়বেকি ইউনিয়নের আটুলিয়া গ্ৰামের গাজী আবুল হোসেন ছেলে ওলি। বর্তমান ঠিকানা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের উত্তর পাশে দাশপাড়া এলাকায়। ভাড়া বাড়িতে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস। ওলির দৈনন্দিন জীবন ধারণের সাথে রয়েছে মাদকের গভীর সম্পর্কো। পেশায় ওলি একজন ইলেকট্রিসিয়ান। ওলির নামে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। যেমন কোন প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য গেলে সেই সব প্রতিষ্ঠান থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে বাহিরে বিক্রি করা। কাজ শেষে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করা। মৌখিক কন্টাকে মিস্ত্রী দিয়ে কাজ করিয়ে টাকা না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে মাদক সেবন করা। কোন ঠিকাদার কাজে নিলে মালিক ও ঠিকাদারের দন্দ্ব সৃষ্টি করে সেই কাজ বাগিয়ে নেয়। বর্তমান ওলি ইছা আমিন নামের একজন ইটালিয়ান প্রবাসীর আদম ব্যবসার ছত্রছায়ায় আছে। শহরের কামাল নগর এলাকার বোড মিস্ত্রী আব্দুস সামাদ বলেন, ওলি আমাকে পারুলিয়া স্বপ্নবাজার শপিং সেন্টার নামে একটি দোকানে কাজে নিয়ে যায়। সেখানে কাজ ওলির সাথে আমার কথা চুড়ান্ত হয় ৬’শত টাকা প্রতিটি বোড মুজুরী এবং প্রতি সপ্তাহে আমাকে টাকা পরিশোধ করবে। প্রথম সপ্তাহে কাজ শেষে বিল চাইলে ওলি বলে মাহাজন টাকা দেয়নাই শনিবার দিবে। আমি বললাম ভাই শ্রমিম যারা কাজ করছে তাদের মুজুরী দিতে হবে। তখন ওলি আমাকে ২৫’শত টাকা দেয় যদিও আমার বিল হয়েছিল ৮/৯হাজার টাকা। রীতিমত শনিবার সারাদিনের কাজ শেষ করার পর বললাম ভাই টাকা দেন। ওলি বললো এখন টাকা নেই। মহাজন চলে যেতে বলেছে। টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিবে তারপর পাবা। রাত ৭,৮,৯,১০, এভাবে তালবাহানা করতে থাকলে ও টাকা বিকাশে আসে না তখন ওলি আমাকে বললো রবিবার সকালে গিয়ে টাকা নিয়ে কাজ করবেন। রবিবার সকালে গিয়ে কাজ করার আগে টাকা চাইলে বলে কাজ করেন আজ টাকা দিয়ে দিবো। কাজ শেষে আবারও তালবাহানা করতে থাকে এভাবে পরের সপ্তাহে শেষ দিনে আমাকে স্বপ্নবাজার শপিং সেন্টারের প্রঃ হাসিব ৫’হাজার টাকা দিয়ে বলে ওলিকে দিবেন। বাকি আপনার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিবো। এদিকে আমার কাজের মালামাল শেষ। তখন আমি হাসিব কে একটি মালামালের বিবরণ দিলাম আনুমানিক ৭০/৮০ হাজার টাকার মত। তখন হাসিব বললো আপনার মালামাল নিয়ে আসবেন আমি টাকার ব্যবস্থা করে দিবো। আমি ওলিকে বললাম সকালে টাকা পাঠালে মালামাল নিয়ে যেতে হবে। তারা টাকা পাঠালো না মালামাল কেনা হলো না। আমার কাজের বাকি টাকাও দেয় না ফোন দিলে রিসিভ করে না। দীর্ঘ দিন ওলি আমাকে এই ১৬ হাজার টাকা নিয়ে তালবাহানা করে আসছে। ফোন করলে হাত পা ভেঙ্গে দিবে বলে হুমকি দেয়। শহরে ওলির অনেক লোকবল। এদিকে টাকার অভাবে আমার ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে সমিতির লোক কিস্তির টাকা দিতে পারিনি তাই। পাকাপুল ব্রিজের পাশে একটি দোকানে কাজের জন্য ৫/৬ হাজার টাকা বাকি ছিল আর পরের কাজে ১৬ হাজার মোট আনুমানিক ২০/২২ হাজার টাকা পাবো।কয়েক মাস পর ওলি আমার শশুর বাড়ি গিয়ে হিসাবে করে বলে আমি ৮’হাজার টাকা পাবো। সেই টাকা দিতে একের পর এক তালবাহানা করছে। ওলির জামিনদার রাজারবাগ এলাকার মোবাইল মেকানিক হাসান জানান, কয়েক দিন আগে ওলিকে একজন মিস্ত্রী পাওনা টাকা আদায়ের জন্য আটক করে। ওলি আমার প্রতিবেশী হওয়ায় আমি জামিনদার হয়ে ওলিকে ছাড়িয়ে দিয়ে ছিলাম কিন্তু ওলি আমার সম্মান রাখেনি। ওলির জন্য আমার পকেট থেকে টাকা দিতে হয়েছে সেই মিস্ত্রী কে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লস্করপাড়া এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, কয়েক মাস আগে ওলি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একজন ঠিকাদাদের মাধ্যমে ইলেকট্রনিকে কাজে যায়। সেখান থেকে ওলি সরকারী তার ও কেবল চুরি করে নিয়ে যায়। শহরে বাসাবাড়িতে, বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক কাজ পেলে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে। বর্তমান সে যন্ত্রাংশ্য শহরের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার হচ্ছে। শ্যামনগর একটি মোবাইলের দোকান থেকে তার এক বন্ধুর নামে একটি মোবাইল বাকি নিয়ে আসে দীর্ঘ দিন পার হলেও মোবাইলের টাকা পরিশোধ করে না ফোন দিলে রিসিভ করে না বলে জানান দোকান মালিক। এবিষয়ে ওলির ফোন নম্বরে ০১৭১২৭৩০৫৬১ যোগাযোগ করা হলে ওলি ফোন রিসিভ করেননি।