স্বাস্থ্য ডেস্ক: বাচ্চার হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত মোটা হতে থাকা মোটেই স্বাভাবিক নয়। এটি একটি রোগ। সময়মতো এই স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে না আনলে পরবর্তীতে হৃদরোগ, হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণায় দেখা যায়, সেখানে প্রতি পাঁচ শিশুর মধ্যে একজন ওবিসিটির সমস্যায় ভোগে। শুধু তাই নয়, দিন দিন চাইল্ডহুড ওবিসিটির হার বেড়েই চলেছে। আমাদের দেশের সাধারণ হিসাব থেকে বলা যায়, গ্রামের বাচ্চাদের তুলনায় শহরের বাচ্চাদের মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। এর কারণ যথেষ্ট হাঁটা-চলা ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড, ডেজার্ট, ঘরমুখী বিনোদন (টিভি, কম্পিউটার, গেমস ইত্যাদি) ও আধুনিক জীবনযাপন। সুস্থতা ও মোটা হওয়া এক নয় : প্রায় সব ঘরেই মায়েরা বাচ্চাদের খাওয়া নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকেন। অনেকের ধারণা, মোটা মানেই ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী। কিন্তু ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। মোটা হওয়া মানেই সুস্থতা নয়। আবার অনেক বাচ্চা সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করলেও মোটা হয় না। এ বিষয়টি নিয়েও অভিভাবকরা চিন্তিত থাকেন। মূল বিষয় হচ্ছে ক্যালরি। আমরা দৈনিক যতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করি এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে কী পরিমাণ পোড়ানো হচ্ছে তা স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করে। ক্যালরি জমতে দেওয়া মানেই স্থূলতা। যেসব বাচ্চা খেলাধুলা, দৌড়ঝাঁপ বেশি করে তাদের ক্যালরি জমতে পারে না। পরিশ্রমের ফলে শরীরে খাবারের চাহিদা থাকে বলে তারা সময়মতো ঠিকই খায় কিন্তু মোটা হয় না। ওবিসিটি এড়াতে : ক্স বাচ্চাদের চিপস, পেস্ট্রি, কোমলপানীয় খেতে অভ্যস্ত হতে দেওয়া যাবে না। ক্স রেগুলার ডাক্তারের কাছ থেকে শিশুর জন্য একটি ডায়েট মেন্যু তৈরি করে আনুন। ক্যালরি মেপে খাওয়ালে মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। ক্স খাওয়ার সময় ডাইনিং টেবিলে খেতে অভ্যাস করান। কারণ টিভি দেখতে দেখতে বা ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে খেলে অনেক সময় বেশি খাওয়া হয়ে যায়। ক্স রাতে খাওয়ানোর পরপরই ঘুম পাড়াবেন না। ক্স খেলাধুলার পরিবেশ তৈরি করুন। ক্স বাচ্চাকে কখনও জোর করে খাওয়াবেন না। তিনবেলা মূল খাবার ও এর ফাঁকে ফাঁকে তিন বার স্ন্যাকস (ফল, দুধ, ঘরে তৈরি জুস, বাদাম ইত্যাদি) রাখুন।
মোটা হয়ে যাচ্ছে আপনার বাচ্চা
পূর্ববর্তী পোস্ট