আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর: শ্যামনগরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড দিয়ে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। কোন প্রকার সরকারি বৈধ অনুমতি ছাড়াই সরকারি খালি জায়গায় সাইনবোর্ড তুলে দখল করে। উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনগর বাজার ভূমি অফিসের সামনে (৫ অক্টোবার) বৃহস্পতিবার দুপুরে ১ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। মুন্সীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বাবু অসীম মৃধা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের তদারকিতে জনসাধারণের সুবিধার্থে হরিনগর বাজারে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অর্থায়নে গণলেট্রিনটিনের স্থান নিদ্ধারণের জন্যে সরাজমিনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান তদন্তে এসে স্থানটি নির্বাচিত করে লেট্রিন নির্মান করার নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা মোতাবেক নির্মান কাজ শুরু করে ওয়ার্ল্ড ভিশন। নির্মাণাধীন গণলেট্রিনের চলমান কাজের স্থানে হটাৎ বৃহস্পতিবার” বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সাইনবোর্ড লাগান স্থানীয়ও মুক্তিযোদ্ধা লুৎফার ফকির, অজেত গাজী, দেবি জোয়ারদার, গফফার ফকির,আলিপদ বিশ্বাস,সুরাত গাজী। প্রত্যাক্ষদর্শীরা বলেন, নির্মাণাধীন গণলেট্রিনের চলমান কাজের স্থানে হটাৎ” বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় ” নামীয় নতুন সাইন বোর্ড দেওয়ার কারণ চেয়ারম্যান বাবু অসীম মৃধা জিজ্ঞেস করলে চেয়ারম্যানকে তুই জানিসনে বলে তুই – তুমারী করে ছাতার বাঁট উচিয়ে তেড়ে মারতে আসে লুৎফর রহমান ফকির। শুরু থেকেই সে চেয়ারম্যানকে তুই তুমারী করতে থাকে। স্থানীয় উৎপাল জোয়ারদার (৫০) বলেন, হরিনগর বাজারটা অনেক বড় বাজার এখানে পাবলিক টয়লেটের খুব দরকার। এই টয়লেট যাতে এখানে না হয় সেই পরিকল্পনা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসাদ কার্যালয়ের একটি সাইনবোর্ড তুলেছে। এখানে এর আগে কোন দিন মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস দেখিনি। মুক্তিযোদ্ধার নাম ব্যাবহার করে সরকারি খাল,পাওবোর জায়গা,বাজারের জায়গা দখল সহ নানান ধারণের অভিযোগ। শ্যামনগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দেবীরন্জন বলেন, ২৫ বছর আগে ওই স্থানে একটা ছোট অফিস ঘর ছিল। দেখভালের লোক না থাকায় অফিসটা বিলুপ্তি হয়ে যায়। অফিসের নামে কোন বৈধ কাগজ আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন আমাদের কোন বৈধ কাগজ নেই। তবে বৈধ কাগজের জন্যে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া সাইনবোর্ড লাগানোর পরে চেয়ারম্যান আমাদের সাথে খুব খারাপ ব্যাবহার করেছে। শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামন বলেন, এলাকার মানুষের সার্থে ওয়াল্ড ভিশনকে পাবলিক টয়লেটর অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং তারা কাজ ও করছে। মুক্তিযোদ্ধার সাইনবোর্ড লাগিয়ে জায়গা দখলের বিষয় জানতে চাইলে বলেন তাদের আগে কোন অফিস ছিল কিনা আমার জানা নেই। তবে তারা অফিস করার জন্যে একটা সাইনবোর্ড তুলেছে শুনেছি। আমার জানামতে তাদের অফিসের নামে বৈধ কোন কাগজ নেই। এছাড়া ওখানে পাবলিক টয়লেটের জায়গা ছাড়া অনেক জায়গা খালি আছে। বিষয়টি ইউনিয়নবাসীসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান।