
সিরাজুল ইসলাম, শ্যামনগর প্রতিনিধি: ঘুষ আর দূর্ণীতি- অনিয়ম অপকর্মের চ্যাম্পিয়ন শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আয়নুল হক। শুধু শ্যামনগর নয়, গোটা সাতক্ষীরা জেলাকে গ্রীন সাতক্ষীরা, ক্লীন সাতক্ষীরা গড়তে রাত-দিন নিরালষভাবে কাজ করে যাচ্ছে এমনকি ইতোমধ্যে ভূমি সহকারী কর্মকর্তার ঘূস বানিজ্যের কারণে চাকরী থেকে বরখাস্তও করেছে, ঠিক সেই মুহুর্তে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকতা আয়নুল হক নিজের আখের গোছাতে মেতে উঠেছে ঘুস বানিজ্যে। তিনি কাউকে চেনেন না, তিনি চেনেন শুধুই ঘুষ। জানা যায়, একটি নাম পত্তন কেসে সরকারি রাজস্ব প্রায় ১৩শ টাকা। কিন্তু, মুন্সীগঞ্জ ভূমি সহকারি কর্মকর্তা প্রজাদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। যারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে তাদের সম্পত্তি খাস করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে। আবার ঘুসের টাকার কথা কাউকে জানালে তার মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। প্রজারা নিরুপায় হয়ে আয়নুল হকের ফাঁদে পা দিয়ে ঘুস দিতে বাধ্য হচ্ছে । স্থানীয় বাজারে কেউ দোকান ঘর তুললেই মুন্সীগঞ্জ ভূমি সহকারি কর্মকর্তাকে ২-৩ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। তা না হলে উপজেলা সহকারি কমিশনা (ভূমি) মহোদয়কে ভূল বুঝিয়ে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দেওয়ার পায়তারা চালায়। মুন্সীগঞ্জ মথুরাপুর গ্রামের মৃত কাছেদ আলী পুত্র এস.এম আবু দাউদ এর পূরানো ঘরের ছাউনি সংষ্কারের জন্য কাজ শুরু করলে ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আয়নুল হক তা বন্ধ করে দিয়ে দেড় লক্ষ টাকা ঘূষ দাবী করে আবু দাউদের কাছে। সক্ষম না থাকায় আবু দাউদ তহশীলদার আয়নুল হকের পায়ে ধরেও মাফ পায়নি। এ পর্যন্ত আবু দাউদ ৩৫ হাজার টাকা দিয়েও ঘরের ছাউনি কাজে হাত দিতে পারেনি। ঘর সংষ্কার করতে না পেরে বিভিন্ন দারে দারে ঘুরছে আবু দাউদ। বিষয়টি লোক মুখে শোনার পর এমপি জগলুল হায়দার মহোদয় কোন একদিন তহশীলদার আয়নুল হককে আবু দাউদের দোকান সংষ্কারের বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখার জন্য ফোন করে সুপারিশ করেছিলেন। এমপি মহোদয়ের সুপারিশের কোন তোয়াক্কা করেননি আয়নুল হক। মাস খানেক আগে কচুখালী গ্রামের ফটিক গাজীর পুত্র হুমায়ন গাজী জমা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার- শ্যামনগর মহোদয়ের কাছে একটি অভিযোগ করে। যার তদন্ত উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হয়ে মুন্সীগঞ্জ তহশীলদার আয়নুল হকের কাছে আছে। হুমায়ন মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর নূরজাহার বেগমের দেবর সেকারণে ০৫ নভেম্বর নূরজাহান বেগম যান মুন্সীগঞ্জ হরিনগর তহশীল অফিসে। যে তহশীলদার আয়নুল হককে সম্মান সহকারে বলেন, আমার দেবর হুমায়নের একটি বিষয়ে এসিল্যান্ড স্যার আপনার কাছে তদন্ত দিয়েছিলো, আজ এক মাস হলো কিন্তু, আপনিতো কোন কিছুই করলেন না। উত্তরে ক্ষেপে উঠে আয়নুল হক বলেন, আমি এসিল্যান্ড-এর চাকরি করি না। যে যা বলেবে তাই শুনতে হবে আমায়? এদিকে ১শ টাকার খাজনায় ১ হাজার টাকা ঘুস আদায় করছে প্রজাদের কাছ থেকে। কোন কথাই তহশীলদার আয়নুল হক শুনতে চায় না। সুধী মহল বলতে চায় সাতক্ষীরাকে দূর্নীতি মুক্ত করতে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল যখন গ্রাম গঞ্জে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে তখনই মুন্সীগঞ্জের তহশীলদার ঘুস দূর্নীতি আর অনিয়মে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পড়েছে। তার খুঁটির জোর কোথায়? বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সূধী মহল জেলা প্রশাষক সাতক্ষীরা মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তহশীল দারের নানা অনিয়ম ও অপকর্মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদক-কে বলেন আইনের বাইরে কিছুই করা হচ্ছে না। শোনা যায়, লংকায় সোনার মন এক টাকা। কিন্তু, আসলে কি সত্য?