সাতনদী ডেস্ক: তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের এক সময়ের আলোচিত হাঁড়কাটা বেড়িবাধ রাস্তাটি পাকা করণের কাজ দীর্ঘ তিন বছর ধরে পড়ে আছে। ফলে রীতিমতো ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে জনসাধারণের। সাতক্ষীরা-খুলনা মহা সড়কের ভৈরবনগর মোড় হতে আখড়াখোলা পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। খানা-খন্দকে ভরে গেছে এই রাস্তাটি। প্রতিনিয়ত ঘটে নানান রকম দূর্ঘটনা। হাজারো মানুষের চলাচলের এই রাস্তাটি পিচের ব্যবস্থা আজও হবে কিনা সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান সংশয়। এমন পরিস্থিতিতে রাস্তা দিয়ে চলাচলে জনসাধারণের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নগরঘাটা ইউনিয়নের গাবতলা মোড় থেকে আখড়াখোলার অভিমুখে ধেঁড়েখালি ব্রিজ সংলগ্ন পর্যন্ত রাস্তা খুড়ে খোয়া দিয়ে রেখেছে দীর্ঘদিন। প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায় এই রাস্তা দিয়ে। পাশাপাশি রাস্তার পাশে থাকা অসংখ্য মৎস্য ঘেরে ইটের গুড়ো প্রবেশের করে মৎস্য ঘের মালিকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশও। নগরঘাটা এলাকার ভ্যানচালক মো. আকবর আলী জানান, ভাড়া হলে গাবতলা পিচের মুখ পর্যন্ত যায় আমরা। তারপরের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় যাত্রীদের পায়ে হেঁটে যেতে হয়। কয়েকজন ঘের মালিক জানান, চারা মাছ, খাদ্য মৎস ঘেরে পৌছাতে অনেক সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয় ভাঙা-চুরা রাস্তার কারণে। টেন্ডার পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম ব্রাদার্স রাস্তা নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে কোন প্রকার মাটি খুড়ে বালি ভরাট করে। পরে রাস্তায় খোয়া ফেলে অজ্ঞাত কারণে দায়সারা গোচের রোলার দিয়ে নিরবে নির্বিঘ্নে চলে যান। এবিষয়ে জানতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কাজী মাজেদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এদিকে, এলাকাবাসীদের মধ্যে এ রাস্তা নির্মাণ করা নিয়ে ধোঁয়াসার বেড়াজাল যেন কাটছে না। রাস্তাটি পাকা করণের কাজ শেষ হলে ধান ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বিখ্যাত ঝাউডাঙা বাজারের সাথে আশপাশের এলাকার মানুষের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আরো ভাল হবে বলে ধারণা করা যায়। অতি দ্রুত রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের স্বু-দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তারা। তালা উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ হালদার জানান, জেলা অফিস থেকে এ রাস্তাটির টেন্ডার দেয়া হয়েছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম ব্রাদার্সকে। নির্দিষ্ট সময়ে পিচের রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ না করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করা হয়েছে।
ভৈরবনগর টু আখড়াখোলা সড়ক নির্মাণ নিয়ে ধোঁয়াসা!
পূর্ববর্তী পোস্ট