
প্রধান প্রতিবেদক : শ্যালিকাকে দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখানো সেই প্রভাষককে শোকজ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে শোকজ চিঠিতে তিন আগামী তিন দিনের মধ্যে ঘটনার কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুন আরা জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের বোর্ড পরীক্ষার খাতা কলেজ ছাত্রীকে দিয়ে দেখানোর জন্য প্রভাষক আদিত্য ব্যানার্জীকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের (শনিবার) মধ্যে ঘটনার কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিরা মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আদিত্য ব্যানার্জী। এই প্রভাষকের তার শ্যালিকা খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কাটিপাড়া গ্রামের শংকর মহলদারের মেয়ে সোমা মহালদার। বর্তমানে কুমিরা মহিলা কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের বোর্ড পরীক্ষার ৫০ টি খাতা ওই প্রভাষক তার শ্যালিকার কাছে দেখতে দেন।
বুধবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে দেখা যায় ওই ছাত্রী ক্যাম্পাসে বসে অনার্স প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের খাতা দেখছেন। খাতাগুলো কে দিয়েছেন, কোথায় পেলেন প্রশ্ন করতেই বেরিয়ে পড়ে অজানা কাহিনী।
সোমা মহালদার তখন জানান, আমার দাদা বাবু খাতাগুলো দিয়েছেন দেখার জন্য। তাই আমি দেখছি। এগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্ষের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের (২০১১৫০১) খাতা।
আপনার কাছে কতগুলো খাতা রয়েছে এমন প্রশ্নে ওই ছাত্রী বলেন, আমার কাছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস বিষয়ের ৫০টি খাতা রয়েছে। এরপর তিনি রুমে গিয়ে বাকিখাতা বের করে দেখান। খাতায় দেখা যায় ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে চলতি বছরের ১ আগস্ট।
এদিকে, পরীক্ষার খাতা শ্যালিকা অথবা ছাত্রীকে দিয়ে দেখানোর বিষয়ে কুমিরা মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আদিত্য ব্যানার্জী জানিয়েছেন, বয়স একটু বেশি হওয়ার কারণে চোঁখে ঠিকমতো দেখতে পাই না। তাই শিক্ষার্থীর কাছে দিয়েছি দেখার জন্য।