সেচপাম্প চুরির নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা;
মামলা করতে বিভিন্ন মহলে তদবির ও দৌড়ঝাঁপ;
নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি সেচপাম্প চুরির নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ আছে জমি মাপার আমিন আলাউদ্দীন গাজীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চাল পড়া, রুটিপড়া সহ নানা ভাবে স্থানীয়দের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। আলাউদ্দীন গাজী তালার দক্ষিণ আটারইর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোজাম গাজীর ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৩১মার্চ তারিখে তালা উপজেলার দক্ষিণ আটারই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার আলাউদ্দীন গাজীর কথিত একটি সেচপাম্প চুরি হয়ে যায়। ঘটনার কয়েকদিন অতিবাহিত হলে ২ এপ্রিল তার সাথে জমি-জমা সহ নানাভাবে বিরোধ আছে এমন প্রতিবেশিদের প্রায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ওই এলাকার আলাউদ্দীনের বন্ধু জাহাঙ্গীরের দোকানে চোর ধরার শালিষ বসায় আলাউদ্দীন। শালিষে নাম খসড়া করে অভিযুক্ত করা হয় রুহুল আমিন, মোঃ কালাম, মফিজুল, হালিম, রনি, রুস্তম, জুলু, আব্দুল হাই, রাজু, ফজলু, আলতাফ, আলমগীর, আবু বকরসহ প্রায় ১৫জনের। সেখানে চাল পড়া, রুটি পড়া, আটা পড়াসহ নানা ধরণের চোর ধরার আজগুবি ব্যবস্থা রাখে। তবে এ শালিষে স্থানীয় কোন মেম্বার বা চেয়ারম্যানকে জানায়নি সে। পুরো মহল্লার মানুষকে হয়রানি করলে স্থানীয়রা ফুঁসে উঠলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় জমি মাপজোখের আমিন আলাউদ্দীন। এভাবে প্রতিবেশীদের হয়রানি করতে না পেরে অবশেষে থানায় সাজানো মামলার প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় গ্রাম ডাক্তার আব্দুস সামাদ জানান, ‘সেচপাম্প চুরির অভিযোগ দিয়ে প্রতিবেশিদের হয়রানির চেষ্টা করছে আলাউদ্দীন। শালিষে তার অভিযোগ অসংলগ্ন ছিলো। একেক সময় একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছিলো। যা ছিলো বিভ্রান্তিকর।’
শালিষে অংশ নেওয়া আমজাদ হোসেন জানান, ‘শালিষে উপস্থিত হয়েই বুঝতে পারছিলাম যে অভিযোগটি মিথ্যা। সাক্ষ্য প্রমান দিতে পারেনি আলাউদ্দীন।’
একই গ্রামের রহিম শেখ জানান, ‘আলাউদ্দীন জমিজমা মাপার কাজ করে। কিছু কিছু আইন সে বোঝে। তার দ্বারা এরকম হয়রানির ঘটনা নিত্তনৈমেত্তিক বিষয়। যারা ফসল ফলিয়ে খায় তারা আবার মোটর চুরি করতে যাবে নাকি।’
স্থানীয় জবেদা বেগম জানান, ‘পুরো ঘটনাই আলাউদ্দীনের সাজানো। গতকালই আমি আলাউদ্দীনের ছেলে সাব্বীর গাজীকে জিজ্ঞাসা করছিলাম যে মটর কই। তখন সে বলে আব্বা মোটর খুলে খাটের নিচে রেখে দিয়েছে।’
ঘটনার কথা স্বীকার করে আলাউদ্দীন গাজী জানায়, ‘আমার পানির পাম্প চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলো। আমি দুইজনকে দেখেছি। এ সময় প্রয়োজনে টাকা দিয়ে মামলা করিয়ে দেয়ার জন্য তদবির করে দেওয়ার অনুরোধ করে আলাউদ্দীন। তবে ১৫জনের নামে স্থানীয়ভাবে শালিষ কেন বসালেন এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেননি। অন্যদিকে সেচ পাম্পা তার বাড়িতেই আছে এমন তার ছেলের স্বীকারোক্তি জানানোর পর তিনি ফোন কেটে দেন।’