
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউরোপের চার দেশ স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া এবং মলদোভার সরকারপ্রধানরা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছেন। শুক্রবার (৩১ মার্চ) ওই চার দেশের প্রধানমন্ত্রীরা ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য কিয়েভ পৌঁছান।
তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ভেসতির বরাত দিয়ে আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, শুক্রবার ট্রেনযোগে স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীরা কিয়েভ পৌঁছান।
কিয়েভের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোব, ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেঙ্কোভিক, স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ হেগার এবং মলদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দু কিয়েভে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। পরে তারা ইউক্রেনীয় শহর বুচায় এক বছর আগে হয়ে যাওয়া গণহত্যার শিকারদের সমাধি পরিদর্শন করেন।
বিদেশি অতিথিদের আগমনের কারণে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিয়েভের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ট্রাফিক আটকে দেয়া হয়।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন এবং ইতালির সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা কিয়েভ সফর করেন। এমনকি মার্চ মাসের শুরুতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও কিয়েভ সফর করেন।
এদিকে, বুচা গণহত্যার এক বছর হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, বুচায় সংঘটিত নৃশংস গণহত্যার জন্য দায়ী প্রত্যেক অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হবে। কাউকে ক্ষমা করা হবে না।
টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক পোস্টে ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘বুচা শহর এবং বুচা জেলায় মাত্র ৩৩ দিনের দখলদারত্বে রাশিয়ানদের হাতে ৩৭ শিশুসহ ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭৫ জনেরও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে গণকবর থেকে। এখানে রাশিয়ানরা অন্তত ৯ হাজারটি যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে।’