আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কানাডার অটোয়ায় একটি রেলস্টেশনে এক মুসলিম যাত্রীকে নামাজ আদায় করতে বাধা দেয়া হয়েছে। স্টেশনের ভেতরে ওয়েটিংরুমে নামাজ আদায়ের সময় তাকে নিষেধ করেন স্টেশনের এক নিরাপত্তারক্ষী। তাকে বাইরে গিয়ে নামাজ আদায় করতে বলেন তিনি।
এ ঘটনায় দেশটির মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে অবশেষে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ওই নিরাপত্তারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি গত সোমবার ঘটলেও বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিটিভি। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, আহমাদ নামে ওই যাত্রী সেদিন স্টেশনের ভেতরে একটি খালি ওয়েটিংরুমে নামাজ আদায় করছিলেন। নামাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এমন সময় সেখানে প্রবেশ করেন স্টেশনের এক নিরাপত্তারক্ষী।
নিরাপত্তারক্ষী আহমাদকে সেখানে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করে বলেন, ‘এখানে নামাজ পড়বেন না। এখন থেকে বাইরে নামাজ পড়বেন।’ এ ঘটনার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তারক্ষী এক যাত্রীকে ঝাঝালো সুরে বলছেন, এখানে নামাজ আদায় করলে স্টেশনের অন্য যাত্রীরা বিরক্ত হতে পারে।
সিটিভি নিউজকে আহমদ বলেছেন, ‘আমি এ ঘটনায় খুবই আহত বোধ করেছি, দুঃখ পেয়েছি। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, এটা কি কানাডা? এটা কি রাজধানী অটোয়া?’
এ ঘটনায় কানাডা ও কানাডার বাইরে মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেই সঙ্গে শুরু হয় সমালোচনা ও বিতর্ক। অবশেষে কানাডার রেল কোম্পানি ভায়া রেল এ ঘটনার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনার তদন্ত শেষে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া রেল কোম্পানি ও ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিম পরস্পর বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। রেলের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন।
রেল কোম্পানির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই নিরাপত্তাকর্মী ভায়া রেলের নিয়মিত কর্মচারী নন। তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত আপাতত তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।